সৌভিক মজুমদার, সুনীত হালদার ও আশিস বাগচী, কলকাতা : ১৫ জুলাই পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার করা যাবে না। মানিকচকের ১৭ জন কংগ্রেস প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। স্বাগত জানিয়েছেন অধীর চৌধুরী। নির্দিষ্ট কয়েকটি দলের নেতা-কর্মীকেই কেন রক্ষাকবচ ? প্রশ্ন তুললেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। 


দিন কয়েক আগেই হাইকোর্টের নির্দেশে মুর্শিদাবাদের বড়ঞায়, বি ফর্ম জমা দিতে পেরেছিলেন কংগ্রেস প্রার্থীরা। এবার হাইকোর্টে স্বস্তি পেলেন মালদার মানিকচকের ১৭ জন কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁদের রক্ষাকবচ দিল আদালত। ১৫ জুলাই পর্যন্ত, হাইকোর্টের অনুমতি ছাড়া ১৭ জনকে গ্রেফতার করা যাবে না। নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।


১৭ জুন রাতে মানিকচকের গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুটোলা গ্রামে কংগ্রেস প্রার্থী শরিকুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় কয়েকজন কংগ্রেসকর্মীর বাড়িতেও সেদিন হামলা হয় বলে অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ১৭ জন কংগ্রেস প্রার্থী। নিরাপত্তার দাবির পাশাপাশি, পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগও তোলেন তাঁরা। এই প্রেক্ষাপটেই ৮ জন মহিলা-সহ ১৭জন প্রার্থীকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাইকোর্ট


এদিকে মানিকচকের ১৭ কংগ্রেস প্রার্থীকে হাইকোর্টের রক্ষাকবচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে তৃণমূল। মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, জানি না, রাজাশেখর মান্থা কী বলেছেন, তা দিয়ে তো পঞ্চায়েত চলবে না। ওঁর ডিটারমিনেশন রয়েছে পুলিশ অ্যাকশনে, আমার মনে হয়, আরেকটু ভাবলে বিচারপতির রায় অন্যরকম হয়। দুটো তিনটে দল, তাঁদের জন্য কবচ থাকবে, আর বাকিদের জন্য থাকবে না, এটা কেমন কথা ?

কিন্তু, ভোটে লড়তে গিয়ে এতবার আদালতেই বা যেতে হবে কেন বিরোধীদের ? প্রতি ভোটে এই প্রশ্নটা ঘুরে ফিরে উঠলেও, পরিস্থিতির বদল হয় না।


এদিকে রাজ্যের শাসক শিবিরে ভাঙন অব্যাহত মালদায় (Malda)। কালিয়াচকে নেতা-কর্মী-সমর্থক মিলিয়ে একসঙ্গে প্রায় ৫০০ জন তৃণমূল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন কংগ্রেসে। মালদায় ঘাসফুল ছেড়ে 'হাত' ধরার প্রবণতা শুরু হয়েছিল কিছুদিন আগেই। যা বজায় রয়েছে।


মালদার কালিয়াচকের (Kaliachak) বাখরপুরে প্রাইমারি স্কুলের মাঠে একটি বিশাল যোগদান কর্মসূচির আয়োজন হয়েছিল। এই যোগদান কর্মসূচিতে প্রায় ৫০০ জন নেতা-কর্মী  তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেন। উল্লেখযোগ্য বিষয়, তৃণমূলের প্রাক্তন প্রার্থী আব্দুল হান্নান এবার কংগ্রেসের টিকিটে জেলা পরিষদের আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এছাড়াও তৃণমূলের কিষান ক্ষেতমজুর ব্লক সভাপতি নাসির উদ্দিন শেখ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি জাহেদা বিবি সহ প্রায় ৬ জন যোগদান কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন। দলত্যাগীদের হাতে জাতীয় কংগ্রেসের পতাকা তুলে দেন দক্ষিণ মালদা কেন্দ্রের সংসদ তথা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু হাসেম খান চৌধুরী।