কলকাতা: কমিশনের বেঁধে দেওয়া ৭২ ঘণ্টার মেয়াদ শেষ হতেই আজ শীতলকুচিকাণ্ডে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মাথাভাঙায় যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সকাল ১০টায় সেখানে পৌঁছবেন তিনি। মাথাভাঙা হাসপাতালের পাশের মাঠে তৈরি হয়েছে শহিদ মঞ্চ। সেখানেই নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, মৃত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার কথা ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কিন্তু নিহতের পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের তরফে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানিয়ে দেয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সাহায্য তাঁরা চান না। তৃণমূলনেত্রীর সফরকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।


শনিবার চতুর্থ দফার ভোটের সকালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে শীতলকুচিতে ঝরে গেছে চার চারটি তরতাজা প্রাণ।তাদের পরিবারের সঙ্গেই কথা বলতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। শনিবার গুলিবিদ্ধ হয়ে পাঁচ জনের মৃত্যুর পরই শীতলকুচি যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, সেদিন রাতেই নির্বাচন কমিশন জানায়,আগামী ৭২ ঘণ্টা কোচবিহার জেলার ভৌগলিক সীমানায় প্রবেশ করতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধি। সেই মেয়াদ শেষ হয়েছে মঙ্গলবার।


আর এরপর আজ কোচবিহারের মাথাভাঙায় তৃণমূল নেত্রী দেখা করবেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে মৃত চার যুবকের পরিবারের সঙ্গে।


পাশাপাশি নিহত বিজেপি কর্মী আনন্দ বর্মনের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু নিহতের পরিবারের সঙ্গে তৃণমূলের তরফে যোগাযোগ করা হলে, তারা জানিয়ে দেয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও সাহায্য তাঁরা চান না। 


তৃণমূল সূত্রে খবর, এদিন সকাল ১০টা নাগাদ হেলিকপ্টারে মাথাভাঙায় যাবেন তৃণমূলনেত্রী। সেইমতো তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড।এই মাঠেই মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন মমতা।


মুখ্যমন্ত্রীর এই সফরকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। কোচবিহার বিজেপির সভানেত্রী মালতি রাভা রায় বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর আসছেন ,অশান্তি হতে পারে, সমস্ত শীতলকুচিবাসী ভয়ে আছে, একবার এসে অশান্ত করে গেছেন, আনন্দ বর্মনের মৃত্যুর জন্য মাননীয়াই দায়ী, উনি এলে আবার অশান্তি হবে। সাধারণ মানুষ ওনাকে চান না। আজ আমরাও আনন্দ বর্মনের বাড়ি যাইনি। শান্তি চাইলে উনি না এলেই ভাল। 


এদিকে মঙ্গলবার মৃত দলীয় সমর্থক আনন্দ বর্মনের পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেয় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।