আবীর দত্ত ও রুমা পাল, কলকাতা: অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন। আর তাই রাজ্যে ২০৯ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ৫৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা। রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে কড়া কমিশন, তাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
মাঝে আর দুদিন। তারপরই রাজ্যে শুরু হবে ভোটযুদ্ধ। শনিবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। নবান্ন দখলের লড়াই যত এগিয়ে আসছে ততই রাজ্যে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে ভোটের হাওয়া। এই প্রেক্ষাপটে নির্বাচনী ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে মঙ্গলবার রাজ্যে এসেছে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ। বাংলায় এসে বুধবার উত্তরবঙ্গ থেকে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানান, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে বদ্ধপরিকর নির্বাচন কমিশন।
২০৯ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক, ৫৪ জন পুলিশ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হয়েছে। জেলাগুলিতে হিংসার ঘটনা কতটা কমেছে তা জানতে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারদের কাছে। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা বলেন, ‘‘১৯টি জেলার ২৩৮টি বিধানসভা কেন্দ্রের পর্যালোচনা করে হয়েছে। হিংসার ঘটনা কতটা কমেছে তা জানতে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। ডিএম এসপিদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট কমিশন। বিএসএফের সঙ্গেও কথা হয়েছে ৷’’
রাজ্যে ভোটের আগে টাকা ও বোমা উদ্ধার নিয়েও কড়া ব্যবস্থার বার্তা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সুনীল আরোরা আরও জানান, ‘‘বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে আলোচনা হয়েছে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অন্যবারের তুলনায় অনেক বেশী টাকা ও মদ উদ্ধার হয়েছে।’’
মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এদিন এও স্পষ্ট করে দেন, এবার ভোটের কোনও ডিউটি করতে পারবে না গ্রিন পুলিশ, সিভিক ভলান্টিয়াররা। ভোটগ্রহণের ৭২ ঘণ্টা আগে করা যাবে না বাইক মিছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনও আপত্তিজনক পোস্ট দেখলেই কড়া ব্যবস্থা। এদিন মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে পুরুলিয়ার কাশিপুরের বিশেষ পর্যবেক্ষ নরেন্দ্র প্রসাদ পাণ্ডেকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন। অন্যদিকে, নিরাপত্তার দাবিতে সিইও-র দফতরের সামনে পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া ১৪১টি পরিবারকে নিয়ে বিক্ষোভ দেখায় ‘সেভ ডেমোক্র্যাসি’।