কলকাতা: এডিজি আইনশৃঙ্খলাকে সরাল নির্বাচন কমিশন৷ জাভেদ শামিমের জায়গায় এলেন জগমোহন৷


শুক্রবার বাংলায় আট দফায় বিধানসভা ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন৷ তারপর ২৪ ঘণ্টাও কাটেনি৷ এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদ থেকে জাভেদ শামিমকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন৷ তাঁর পরিবর্তে এডিজি আইনশৃঙ্খলা পদে বসানো হল দমকলের বর্তমান ডিজি তথা সিনিয়র আইপিএস অফিসার জগমোহনকে৷ কমিশনের এই পদক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূ্র্ণ বলে মনে করা হচ্ছে৷


ভোটের দিন ঘোষণা হতেই অপসারিত হলেন এডিজি আইনশৃঙ্খলা। জাভেদ শামিমকে সরাল নির্বাচন কমিশন। জাভেদ শামিমের জায়গায় নতুন এডিজি আইনশৃঙ্খলা হলেন জগমোহন। এর আগে দমকলের ডিজি ছিলেন জগমোহন। তাঁর পরিবর্তে দমকলের ডিজি হলেন জাভেদ শামিম। কেন্দ্রীয় বাহিনী-রাজ্য পুলিশের নোডাল অফিসার এডিজি আইনশৃঙ্খলা। কয়েকদিন আগেই জাভেদ শামিমকে দায়িত্ব দেয় রাজ্য সরকার। জ্ঞানবন্ত সিংহকে সরিয়ে জাভেদ শামিমকে আনে রাজ্য সরকার।


ভোট ঘোষণার পর চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতে না পেরোতেই রাজ্য পুলিশের শীর্ষ পদে বড় রদবদল ঘটাল নির্বাচন কমিশন৷ এ বিষয়ে ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতর৷ গত ৬ ফেব্রুয়ারি রাজ্য পুলিশের ত‍ৎকালীন এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) জ্ঞানবন্ত সিংহকে সরিয়ে জাভেদ শামিমকে ওই পদে নিয়ে এসেছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই সিদ্ধান্তকে মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেই দেখছিলেন প্রাক্তন ও বর্তমান পুলিশ আধিকারিকরা। কেননা রাজ্য পুলিশের অন্যতম কর্মঠ ও দক্ষ অফিসার হিসেবেই পরিচিত জাভেদ শামিম। ভোটের সময়ে রাজ্য পুলিশের এডিজি আইনশৃঙ্খলার ভূমিকা অপরিসীম। তিনিই মূলত পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও পরিচালনার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নেন।


এই বদলের সমালোচনা শোনা গিয়েছে সৌগত রায়ের মুখে। তৃণমূল সাংসদ বলেছেন, ‘‘বিজেপির দাবি মেনে অফিসারদের সরানো হচ্ছে কি না জানি না। দু’জনই ভাল অফিসার৷ হঠাৎ এই রদবদলে মনে হচ্ছে রাজনীতির ছোঁয়া আছে। আজই বিজেপি অভিযোগ করেছে কমিশনে। কমিশনের নিরপেক্ষতা থাকা দরকার। বিজেপি নিরন্তর চেষ্টা  চালাচ্ছে কমিশনকে দিয়ে তাদের উদ্দেশ্য পূরণ করতে। চক্রান্ত হচ্ছে৷’’