অভিজিত্‍ চৌধুরী ও ময়ুখ ঠাকুর চক্রবর্তী:  মালদার তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা কমানো হল।  জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, আগে তিনজন রক্ষী সমসময় কৃষ্ণেন্দুর সঙ্গে থাকতেন।  প্রাক্তন মন্ত্রীর নিরাপত্তা পর্যালোচনা করে একজন রক্ষী সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।  যদিও প্রশাসনের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যত উষ্মাই প্রকাশ করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী।


ভোটের মুখে মালদার তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর নিরাপত্তা কমাল রাজ্য সরকার। জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর সঙ্গে আগে পুলিশের ৩ জন রক্ষী থাকতেন।  ১ জন রক্ষীকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।  এই ঘটনাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক।  কৃষ্ণেন্দুর দাবি, মঙ্গলবার সন্ধেয় একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি।  সেই সময় তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের ফোন করে জানানো হয় যে, তাঁদের ক্লোজ করা হয়েছে।  এরপর রক্ষীরা চলে যান।  কৃষ্ণেন্দুর দাবি, তিনি কোনও রক্ষীকে রিলিজ করেননি। বুধবার সকালে বাড়ি থেকে প্রায় ৫০০ মিটার দূরে শরীর চর্চার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে যান কৃষ্ণেন্দু।  কিন্তু সে সময় তাঁর সঙ্গে কোনও রক্ষীকে দেখা যায়নি। 


কৃষ্ণেন্দুর দাবি, ১৯৯৫-এ বাম আমলে তাঁকে প্রথম সরকারের তরফে নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হওয়ার আগে পর্যন্ত তাঁকে ২ জন নিরাপত্তা রক্ষী দেওয়া হত। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান হওয়ার পর আরও একজন রক্ষী বাড়িয়ে দেওয়া হয়। যদিও জেলা পুলিশের তরফে দাবি, কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরীর একজন রক্ষী প্রত্যাহার করা হয়েছে।  নিয়মিত ভিভিআইপি-দের নিরাপত্তা পর্যালোচনা করা হয়।  ওঁর ক্ষেত্রেও পর্যালোচনা করে একজনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে আরও ২ জন নিরাপত্তারক্ষী রয়েছেন। 


কংগ্রেস বিধায়ক কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ ২০১৩-য় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন।  মন্ত্রীপদও সামলেছেন। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পরাজিত হন। ২০১৭-র জানুয়ারিতে তাঁকে ইংরেজবাজার পুরসভার চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এবার ভোটের মুখে তাঁর নিরাপত্তা কমানো কি দলের তরফে কোনও বার্তা?  সেই প্রশ্ন জেলা রাজনীতির অন্দরে মাথাচাড়া দিয়েছে।