সমীরণ পাল, বারাসত: বিধানসভা ভোটে দোতলায় কোনও বুথ করা যাবে না, নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই নির্দেশ অনুযায়ী এবার উত্তর ২৪ পরগনায় বাড়ছে বুথ। পাশাপাশি সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধী দলগুলি উত্তর ২৪ জেলা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়েছে, কোনও ক্লাবে যাতে বুথ না হয়।


সামনেই একুশের মহারণ। আর কয়েকদিনের মধ্যেই ঘোষণা হতে পারে ভোটের নির্ঘণ্ট। ভোট প্রস্তুতিতে ব্যস্ত নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিটি বুথে ১,০৫০ জন করে ভোটার থাকবে। উত্তর ২৪ পরগনায় মোট বুথের সংখ্যা ৮,২৭৭ থেকে বেড়ে হচ্ছে ১০ হাজার ৯৯৪টি। নতুন করে ২,৫১৭ টি বুথ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি ১৬৬টি বুথের স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, এই বাড়তি বুথ কোথায় হবে? ভোটের আগে এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলাশাসক। সর্বদলীয় বৈঠকে বিরোধীরা একযোগে দাবি জানায়, কোনও ক্লাবে বুথ করা যাবে না। সরকারি প্রতিষ্ঠানে বুথ করতে হবে।

এ বিষয়ে বিজেপি বারাসত সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি শঙ্কর দাস বলেন, ‘আমাদের দাবি, ক্লাবঘরে বুথ যাতে না হয়। কোনও সরকারি প্রতিষ্ঠানেই বুথ করতে হবে।’

উত্তর ২৪ পরগনার ফরওয়ার্ড ব্লক নেতা সমীর দত্ত বলেন, ‘ক্লাবে বুথ হওয়া নিয়ে আপত্তি জানিয়েছি। অনেক জায়গায় ক্লাব থেকে বুথ তোলা হয়েছে।’

যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, এ বিষয়ে প্রশাসনের ভাবনাই শেষ কথা। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র সুনীল মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘আজ বুথ পরিবর্তন নিয়ে বৈঠক ছিল। কোথায় কোথায় বুথ হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়। সব দল সেই বৈঠকে ছিল। সবার সম্মতিতেই সভা শেষ হয়েছে। এক হাজার ৫০ এর বেশি ভোটার কোনও বুথে তাকলে সেই বুথ ভাগ করা হবে। গ্রাউন্ড ফ্লোরে জায়গা না পাওয়া গেলে অস্থায়ী কাঠামো তৈরি করে পোলিং স্টেশন হবে।’

জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, অস্থায়ী বুথ কোথায় করা হবে, এ বিষয়টি দেখছে পূর্ত দফতর।