কলকাতা:  কলকাতা পুরসভার পুরপ্রশাসকের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূল নেতা তথা বিধানসভা ভোটের প্রার্থী ফিরহাদ হাকিম। 


চলতি সপ্তাহান্তে রাজ্যে শুরু হয়ে যাচ্ছে হাইভোল্টেজ বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে  গত পরশু, শনিবার, রাজ্যের পুরসভাগুলিতে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা যাবে না বলে নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন। 
গ্রাফিক্স আউট


শনিবার এক নির্দেশিকায় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছিল, যেসব পুরসভা বা কর্পোরেশনের মেয়াদ ফুরনোর পর, বিদায়ী চেয়ারম্যান বা মেয়র বা রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কোনও ব্যক্তিকে প্রশাসক বা প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান পদে নিয়োগ করা হয়েছে, তাদের সরিয়ে সরকারি অফিসারদের সেই পদে নিয়োগ করতে হবে।


ভোটে নিরপেক্ষতা এবং স্বচ্ছতা আনতেই এই পদক্ষেপ বলে জানায় নির্বাচন কমিশন।  রাজ্যে কলকাতা, হাওড়া-সহ ১১২টি পুরসভায় প্রশাসক রয়েছে। হাওড়া, বর্ধমানের মতো কয়েকটি পুরসভার প্রশাসক পদে সরকারি অফিসাররাই রয়েছেন। কিন্তু বাকি পুরসভাগুলির প্রশাসক পদে রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।


তাঁদের মধ্যে অনেকে বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থীও হয়েছেন। যেমন, কলকাতা বন্দর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী, কলকাতা পুরসভার পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম। বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রশাসক অরিন্দম গুঁই চাঁপদানি কেন্দ্র থেকে লড়ছেন। 


ভোটে লড়ছেন খড়দা পুরসভার প্রশাসক কাজল সিন্হাও। বামেদের হাতে থাকা একমাত্র পুরসভা, শিলিগুড়ির পুর-প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অশোক ভট্টাচার্যও ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।


পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন পুরসভার প্রশাসকরা পক্ষপাতমূলক আচরণ করছে বলে চলতি মাসেই নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায় বিজেপি৷ 


অবাধ ভোটের স্বার্থে পুর প্রশাসক পদ থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের সরানোর দাবিও জানায় তারা। শনিবার কমিশনের নির্দেশে সেই দাবিতে সিলমোহর পড়ে। 


নির্বাচন কমিশন নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং নগরোন্নয়ন দফতরের প্রধান সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করতে হবে। তারা নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে মেয়াদ উত্তীর্ণ পুরসভাগুলির প্রশাসক পদে সরকারি অফিসার নিয়োগ করবে।


গোটা প্রক্রিয়া শেষ করে ২২ মার্চ সকাল ১০টার মধ্যে রিপোর্ট দেওয়ার নির্দেশ দেয় নির্বাচন কমিশন।