কলকাতা: 'নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) হাওয়ার জয়', লোকসভা ভোটের আগে ৪ রাজ্যের বিধানসভা ভোটে যে ঝড় তুলল গেরুয়া শিবির, তার পর এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar On BJP Performance In Elections 2023)। তেলঙ্গানা বাদে বাকি ৩ রাজ্যেই ক্ষমতা দখলের পথে বিজেপি। পদ্ম-ঝড় দেখে সুকান্ত আরও বললেন, 'আগামী লোকসভা নির্বাচনে ৩৫টি আসনের দিকে আমাদের চোখ। এই জয় আমাদের কর্মীদের আরও উৎসাহিত করবে।'    


বাংলা প্রসঙ্গে...
মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান এবং ছত্তীসগঢ়। তিন রাজ্যেই কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি। দলের এমন পারফরম্যান্স দেখে পশ্চিমবঙ্গেও বিজেপি কর্মীরা উৎসাহিত হবেন বলে আশা সুকান্ত মজুমদারের। তাঁর মতে, 'আমরা পর পর দুটো ডোজ পেলাম। এক, ২৯ নভেম্বর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সভায় ভিড়। দুই, এই জয়।' কিন্তু উত্তর তথা মধ্যভারতে শক্তিশালী হলেও দক্ষিণ ভারতে এখনও শক্তিশালী নয় বিজেপি। তেলঙ্গানায় যেমন কংগ্রেসের আশার পথ প্রশস্ত। কয়েক মাস আগে কর্নাটকেও ক্ষমতা হারিয়েছে বিজেপি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি সভাপতি অবশ্য কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলকে আমল দিতে নারাজ। তাঁর মতে, 'কর্নাটকে সরকার বিরোধিতা একটা ফ্যাক্টর। পাঁচ বছর অন্তর সরকার বদলায়। স্বাভাবিক ভাবে সেই বদল এবারও রয়েছে। কিছু বিভ্রান্তিমূলক সুযোগ সুবিধার আশ্বাসও দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু এই ভুল বেশিদিন থাকবে না। অপেক্ষা করুন। আগামীদিনে নির্বাচনে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে কর্নাটকে ফিরবে বিজেপি।' আর তেলঙ্গানা? তাঁর মতে, বিজেপি এই প্রথম তেলঙ্গানায় এত ভোট পাচ্ছে। আগামীদিনে তাদের বিধায়ক সংখ্যা আরও বাড়বে। সব মিলিয়ে বিজেপি স্রেফ 'উত্তর ভারতের পার্টি', এই তকমা অচিরেই ঘুচে যাবে বলে মনে করেন সুকান্ত। 


পাখির চোখ...
তবে দলের এই পারফরম্যান্সের নেপথ্যে 'মোদি-ম্যাজিকে' জোর দিচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয়। জানাচ্ছেন, লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, তত নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে অন্যান্য নেতাদের তুল্যমূল্য বিচার করবেন এদেশের মানুষ। যে মূল্যায়নে নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর সরকার কয়েক হাজার কিলোমিটার এগিয়ে রয়েছে, দাবি রাজ্য বিজেপি সভাপতির। তার প্রমাণ ধরা পড়েছে ৩ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলাফলে। আসন্ন লোকসভা ভোটেও বাংলায় বিজেপির পারফরম্যান্সে এক জিনিস ধরা পড়বে, আশাবাদী সুকান্ত। এবং এই জন্য দুর্নীতিকে আরও বেশি করে ইস্যু করা হবে, সাফ জানালেন তিনি। তাঁর কথায়, 'নরেন্দ্র মোদি উজ্জ্বলা যোজনা গ্যাস দেওয়ার সময় এটা দেখেন না, উপভোক্তা বিজেপি নাকি তৃণমূল করেন। মমতা যেটা করেছেন, তা হল উপভোক্তা মাত্রেই রাজনৈতিক উপভোক্তা হতে হবে। যেমন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দেওয়ার ক্ষেত্রে দেখা হয়, কে তৃণমূল করেন। তবে এই বন্ধন বেশিদিন কাজ করে না। মানুষ নিশ্চয়ই নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করবেন।' 


আরও পড়ুন:ছত্তীসগঢ় এবার কার ? হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে এখন এগিয়ে বিজেপি