মুম্বই: সাদা কালো ছবি, মাথায় পাগড়ি, গলায় হার। সরু গোঁফের এই তরুণের ছবি দেখলে এক ঝলকে যেন চেনাই যায় না। ভালো করে দেখলে চেনা যায় বটে, কিন্তু ধন্ধ মেটে না। ইনি কী অমিতাভ বচ্চন নাকি সোনু সুদ? রবিবার বিগ বির শেয়ার করা পুরনো ছবি দেখে তাঁর সঙ্গে অপেক্ষাকৃত তরুণ তারকা সোনু সুদের মিল খুঁজে পেলেন নেটাগরিকরা।


রবিবার নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট থেকে একটি ছবি শেয়ার করেন অমিতাভ বচ্চন। সঙ্গে লেখেন, 'এই ছবিতে ১৯৬৯ সালের। 'রেশমা ও শেরা' ছবিতে এটাই আমার লুক ছিল। আমি মনোনীত ও হয়েছিলাম।' অমিতাভের এই ছবিতে ভালোবাসা জানান অনেক বলিউড তারকাই। আর তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন সোনু সুদ। এছাড়াও রণবীর সিংহ ও অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নভ্যা। তবে সমস্যা শুরু হয় নেটিজেনদের কমেন্টকে ঘিরেই।


অমিতাভের এই পুরনো ছবির সঙ্গে অনেকেই মিল খুঁজে পান সোনু সুদের। 'করোনাকালের মসিহা' এখন চোখের মণি নেটিজেনদের। প্রিয় দুই তারকার মিল খুঁজে পেয়ে তারাও উচ্ছসিত। অনেকেই অমিতাভের ছবিতে মন্তব্য করেন, 'আপনাকে সোনু সুদের মত দেখতে লাগছে স্যার।' অনেকেই আবার লেখেন, ক্যাপশান পড়ার আগে তাঁরা নাকি বুঝেই উঠতে পারেননি ছবিটি অমিতাভের। ভেবেছিলেন সোনু সুদের একটু পুরনো কোনও সাদা কালো ছবি। এমনকি অনেকেই জানতে চান, অমিতাভের সঙ্গে সোনু সুদের কোনও সম্পর্ক আছে কি না। ছবিটিতে ইতিমধ্যেই রিঅ্যাকশান দিয়েছেন ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষ। কার্যত ভাইরাল হয়ে যায় ছবিটি।


সম্প্রতি প্রকাশ্যে এসেছে 'গুডবাই' ছবিতে অমিতাভ বচ্চনের লুক। সবারই মনে ধরেছে সেই ছবি। সোশ্যাল মিডিয়ায় হামেশাই বিভিন্ন পুরনো ছবি শেয়ার করে স্মৃতিচারণ করেন অমিতাভ। কেবল নিজের নয়, স্ত্রী জয়া বচ্চনের বিভিন্ন সময়ের ছবিও সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন তিনি।


অন্যদিকে, করোনা পরিস্থিতিতে বার বার মানুষের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন সোনু সুদ। বলিউডে বক্স অফিসে ছবির ব্যবসা দিয়েই মাপা হয় তারকাদের যশ, খ্যাতি। কিন্তু কেবল অভিনয়, গ্ল্যামার বা পেশাদারি সাফল্য নয়, মানবিকতা দিয়েও যে অনায়াসে মন জয় করা যায় তা শেখালেন সোনু সুদ। আসমুদ্র হিমাচল যাঁকে চেনে ‘দাবাং’-এর ছেদী সিং’ হিসাবে। তাঁর নিষ্ঠুর চাহনি, পেশিবহুল চেহারা আর খুনে মেজাজ দর্শকদের শিরদাঁড়া দিয়ে হিমেল স্রোত বইয়ে দেয়। করোনা আবহে অবশ্য উলটপুরাণ হয়েছে। পর্দার খলনায়ক সোনু এখন জনতার চোখে ‘মসিহা’। লকডাউনে ভিনরাজ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ফেরাতে তাঁর মহৎ উদ্যোগ দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। নিজে রাস্তায় নেমে শ্রমিকদের ফেরার ব্যবস্থা করেছেন। হাতে তুলে দিয়েছেন খাবারের প্যাকেট, জল। শুধু তাই নয়, অনাথ শিশুদের শিক্ষার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে হাসপাতালে অক্সিজেন সরবরাহের ব্যবস্থা সবকিছুতেই অগ্রগণ্য সোনু ও তাঁর টিম।