মুম্বই : প্রয়াত সঙ্গীত শিল্পী-সুরকার বাপি লাহিড়ি। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়ায় মৃত্যু, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এছাড়াও আরও অনেক শারীরিক জটিলতা ছিল তাঁর, জানা গিয়েছে ঘনিষ্ঠ সূত্রে। 
শোনা গিয়েছে, কোভিডের পরই নাকি গলার স্বর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ইদানীং তিনি বড় একটা কথা বলতে পারতেন না।  হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পর কেউ কেউ কুশল সংবাদ নিতে তাঁকে ফোন করলে বা দেখা করতে গেলে নাকি কারোও সঙ্গেই কথা বলতে পারেননি শিল্পী। ছেলে বাপ্পা আমেরিকায় রয়েছেন। সূত্রের খবর, তিনি ফেরার পর, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের পবনহংস শ্মশানে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে সঙ্গীত শিল্পীর।
গত বছর এপ্রিলে করোনা আক্রান্ত হয়ে মুম্বইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বাপি লাহিড়ি। পরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন। গত একমাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন বাপি ছিলেন। সোমবার ছেড়ে দেওয়া হয়। গতকাল অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফের নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তাঁর আকস্মিক প্রয়াণে শোকাহত বলিউড। শোকপ্রকাশ করেছেন অনুপম খের। 


 







বাপি লাহিড়ির প্রয়াণে তাই শোকস্তব্ধ সঙ্গীতমহল। ১৯৭৫ সালে হিন্দি ছবি জখমি দিয়ে কেরিয়ার শুরু। এরপর ১৯৭০ থেকে ৮০-এর দশকে হিন্দি ছায়াছবির জগতে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন বাপি লাহিড়ি। একের পর এক সুপারহিট গান উপহার দিয়েছেন ভারতীয় সঙ্গীতের ডিস্কো কিং। ‘ডিস্কো ডান্সার’, ‘ডান্স ডান্স’, ‘হিম্মতওয়ালা’, ‘চলতে চলতে’, ‘শরাবি’, ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘কম্যান্ডো’, ‘শোলা অউর শবনম’-এর মতো ছবিতে সুর দিয়েছেন। গেয়েছেন একাধিক গান। ২০২০ সালে তাঁর শেষ গান ‘বাগি থ্রি’-র জন্য। বাংলায় ‘অমর সঙ্গী’, ‘আশা ও ভালবাসা’, ‘আমার তুমি’, ‘অমর প্রেম’-সহ একাধিক ছবিতে সুর দিয়েছেন। গায়কীর নিজস্বতা তাঁকে অন্যদের থেকে আলাদা করেছিল।