কলকাতা: 'কালকক্ষ' -র পরে এবার 'মন পতঙ্গ'-র গল্প। রাজদীপ পাল ও শর্মিষ্ঠা মাইতি নিয়ে আসছেন তাঁদের দ্বিতীয় ছবি। মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী সীমা বিশ্বাস (Sima Biswas), জয় সেনগুপ্ত (Joy Sengupta), নবাগত শুভঙ্কর মোহন্ত (Subhankar Mohanta) ও বৈশাখী রায় (Baishakhi Roy), অমিত সাহা (Amit Saha), তন্নিষ্ঠা বিশ্বাস (Tannishya Biswas), জনার্দন ঘোষ (Janardan Ghosh), ত্রীবিক্রম ঘোষ (Tribikhram Ghosh), অনিন্দিতা ঘোষ (Anindita Ghosh), অনিন্দ্য রায় (Anindya Roy)-রা।


তবে কেবল নামকরা অভিনেতা অভিনেত্রী নন, এই ছবির একটা বড় অংশ জুড়ে রয়েছেন ফুটপাতবাসী মানুষেরা ও পথশিশুরা। ছবির বিষয়ে পরিচালক জুটি বলছেন, 'কালকক্ষ ছবির সঙ্গে এই ছবির কোনো মিল নেই। 'কালকক্ষ' অনেক বেশী রূপকধর্মী একটি ছবি। 'মন পতঙ্গ' অনেক বেশী জীবন ভিত্তিক, প্রাণবন্ত।। 'মন পতঙ্গ' এক আকাঙ্খার আখ্যান। ওড়ার, পোড়ার এবং চিতাভস্ম থেকে আগুন পাখি হয়ে  ফিরে আসার গল্প 'মন পতঙ্গ'। ছেঁড়া কাঁথায় শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা এবং সেই স্বপ্নকে চরিতার্থ করার জন্য সবকিছু বাজি রাখার গল্প এই ছবি।'



ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ধর্মীয় নিগ্রহের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে শহরে পালিয়ে আসা এক হিন্দু মুসলমান প্রেমিক প্রেমিকা যুগল। গ্রামের মেঠো পথ থেকে একসঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন নিয়ে শহরে আসা এই যুগলের ঠাঁই হয় শহুরে রাস্তার ধারে খোলা আকাশের নীচে। সেখানেই গড়ে ওঠে তাদের জীবন-জীবিকা। ধীরে ধীরে এই নতুন জীবনের সাথে নিজেদের যখন তারা মানিয়ে নিচ্ছে, তখনই তাদের চোখে পড়ে রাস্তার পাশের একটি ঝাঁ চকচকে আসবাবের দোকানে। এক বিশাল আরাম-চেয়ার – ঠিক যেন স্বপ্নের সিংহাসন। ফুটপাথের ধারে ছেঁড়া কাঁথায় বসে তারা স্বপ্ন দেখে। মনে মনে শপথ নেয়, একদিন তারা দুজনে একসাথে সেই আসনে বসবে।


আরও পড়ুন: Kiara Siddharth Wedding: 'শেরশাহ'-র গান বাজল আবহে, বিয়ের মন্ডপে সিদ্ধার্থকে দেখে মুগ্ধ কিয়ারা


জীবনের পথে পোকামাকড়ের মত পদপিষ্ট না হয়ে জোনাকির মত জ্বলে উঠতে চায় তারা। লক্ষে পৌঁছোনোর রাস্তার বিভিন্ন বাঁকে তাদের সঙ্গে দেখা হয় অনেক চরিত্রের । কেউ তাদের বলে গণ্ডীতে গুঁজে থাকতে, লোভ না বাড়াতে, ছোট ছোট সুখে সন্তুষ্ট থাকতে। অন্যদিকে কেউ কেউ তাদের হাতছানি দেয় ধন-দৌলত, বুদ্ধিবৃত্তি ও ক্ষমতার চোরাগলিতে। আশা আর আকাঙ্ক্ষাকে পাখনা বানিয়ে উড়ে চলে তারা যেভাবে আগুণের পানে ধেয়ে যায় পতঙ্গ। তবে কি পুড়ে ছাই হয়ে যায় তারা? ভাঁটা পড়ে ভালোবাসায়? লোভ, ভয়, ঘৃণা, অহঙ্কার আর সমাজে ধর্ম, শ্রেণী ও লিঙ্গ বৈষম্যের অন্ধকারে হারিয়ে যায় তারা? নাকি পুড়ে ছাই হয়ে যাবার পরেও ফিরে আসা যায়? উপলব্ধি করা যায় ভালবাসার গভীরতা?  কাঙ্ক্ষিত ক্ষমতার আসনকে কি কোন জাদুবলে পরিণত করা যায় ভালোবাসার রাজসিংহাসনে? উত্তর মিলবে ছবির গল্পে। চলতি বছরের শেষের দিকে প্রেক্ষাগৃহে আসতে পারে এই ছবি।