তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: আইপিএলের (IPL) মরসুম। দিল্লি ক্যাপিটালসের সঙ্গে দেশের এই প্রান্ত থেকে ওই প্রান্ত ঘুরে বেড়াচ্ছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় (Sourav Ganguly)। সঙ্গে থাকছিলেন তিনিও। তবে সদ্য কলকাতায় ফিরেছেন তিনি। কারণ দীর্ঘ কয়েক বছর পরে লন্ডন থেকে নববর্ষে বাড়ি আসছেন কন্যা সানা (Sana Ganguly)। মেয়ের জন্য নতুন জামা কিনতে হবে, বানাতে হবে বিশেষ মেনু... সেই নিয়ে গঙ্গোপাধ্যায় বাড়িতে ব্যস্ততা। তারই ফাঁকে, এবিপি লাইভকে (ABP Live) নববর্ষের পরিকল্পনা আর স্মৃতির গল্প শোনালেন নৃত্যশিল্পী ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় (Dona Ganguly)।
পড়াশোনা শেষ করে সৌরভ-কন্যা সানা এখন লন্ডনে কর্মরতা। বেশ কয়েক বছর নববর্ষে বাড়ি আসতে পারেনি কাজের কারণেই। তবে এই বছর নববর্ষে বীরেন রায় রোডের বাড়িতে ফিরছেন তিনি। এবিপি লাইভকে নিজেই এই খবর দিয়ে ডোনা বলছেন, 'গতবছর নববর্ষে সানার সঙ্গে আমিই লন্ডনে ছিলাম। তবে এবার বেশ অনেক বছর পরেই সানা বাড়ি আসছে। নববর্ষে ছোটবেলায় নতুন জামা পড়ার চল ছিল বটে, তবে এখন আর সেইভাবে কেনাকাটা করা হয় না। তবে এই বছর সানা আসছে, তাই ওর জন্য নতুন কিছু পোশাক কেনা হয়েছে। নববর্ষের দিনই বাড়ি ফিরছে, তাই মেনুতে ওর পছন্দের ঘি-ভাত থাকছে। আসলে এটা সবজি দিয়ে তৈরি পোলাওয়ের মতো, আমাদের ঘি-ভাত বলা হয়। সানা এটা খেতে ভীষণ ভালবাসে। এছাড়া আর কোনও পরিকল্পনা নেই এই বছর, সানার সঙ্গে দিনটা কাটানোই গুরুত্বপূর্ণ।'
আইপিএলের ব্যস্ততার মধ্যে, নববর্ষের দিনটায় বাড়িতে থাকতে পারবেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়? ডোনা বলছেন, 'নাহ.. অনেকগুলি ম্যাচ রয়েছে সামনে। ফলে দাদাকে দিল্লি ক্যাপিটালস্-এর সঙ্গে ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। তবে আগামী ম্যাচে আমি আর সানা যাব। কিছুটা সেই কারণেই সানা ফিরছে। তবে নববর্ষে দাদার সঙ্গে দেখা হবে না।'
দীর্ঘ প্রেম, তারপরে বিয়ে। সৌরভ-সোনার প্রেমের গল্প রূপকথার মতোই। নববর্ষের মতো বিশেষ দিনে কখনও দেখা করেছেন তাঁরা? বিশেষ উপহার তুলে দিয়েছেন একে অপরের হাতে? একটু হেসে ডোনা বলছেন, 'নববর্ষ, সরস্বতী পুজো, এই দিনগুলো তো বাড়িরই উৎসব। প্রচুর মানুষজন থাকেন, ফলে সবসময়েই নজরে থাকা। বাড়ি থেকে বেরনো, দেখা করা, উপহার দেওয়ার সুযোগই হত না বিশেষ এই দিনগুলোয়। বরং সাধারণ দিনেই কখনও কোনও উপহার দিয়েছি। বিয়ের আগের নববর্ষে দাদার সঙ্গে তেমন কোনও স্মৃতি নেই।'
একান্নবর্তী পরিবার, কেমন কাটত ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছোটবেলার নববর্ষ? নৃত্যশিল্পীর কথায়, 'নববর্ষ মানেই বাবা-মায়ের থেকে নতুন জামা পেতাম। আর বাবাকে দেখতাম পুজো করতে। দুপুরে হয় বাড়িতে বিশেষ কোনও মেনু হত, নাহলে বাইরে খাওয়া দাওয়া। সব মিলিয়ে বেশ অন্যরকমই কাটত দিনটা।'
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।