মুম্বই: পশ্চিমবঙ্গে আসার পথে, সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল বলিউড অভিনেতা পঙ্কজ ত্রিপাঠীর (Pankaj tripathi) ভগ্নিপতির। অভিনেতার বোনও গুরুতর আহত বলে পিটিআই সূত্রে খবর। পায়ে গুরুতর চোট পেয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বোন সবিতা তিওয়ারি।  ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এলাকায় মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে। 


পশ্চিমবঙ্গে আসার পথে দুর্ঘটনা


পিটিআই সূত্রে খবর, দিল্লি-কলকাতা জাতীয় সড়কে আসার পথে বিকেল সাড়ে ৪ টে নাগাদ দুর্ঘটনা ঘটে। পঙ্কজ ত্রিপাঠী ভগ্নিপতি রাকেশ তিওয়ারি এবং তাঁর বোন সবিতা তিওয়ারি বিহারের গোপালগঞ্জ জেলা থেকে পশ্চিমবঙ্গের দিকে আসছিলেন। ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ এলাকায় মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে।


ঠিক কী হয়েছিল ?


নিসা মার্কেটে পৌঁছনোর আগেই, তাদেঁর দ্রুত বেগে ছুটে আসা গাড়ি একটি ডিভাইডারে ধাক্কা মারে। গাড়ির নাম্বার WB44D-2899 । দুর্ঘটনার আগে গাড়ির বেগ এতটাই বেশি ছিল না, ডিভাডারে ধাক্কা মারার সঙ্গে ভেঙে খণ্ড খণ্ড হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পর স্থানীয়দের সাহায্য নিয়ে গাড়ি থেকে পুলিশ ওই দুইজনকে উদ্ধার করে। 


কেমন আছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠীর বোন ?


দুর্ঘটনার পর রাকেশ তিওয়ারিকে শহিদ নির্মল মাহাতো মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (SBMMCH) নিয়ে যাওয়া হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেখানেই চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ওই হাসপাতালের এমাজেন্সির HOD দিনেশ কুমার বলেন, পঙ্কজ ত্রিপাঠির বোনের পা ভেঙে গিয়েছে। তবে এই মুহূর্তে বিপদ কেটে গিয়েছে। 


রেলে চাকরি করতেন পঙ্কজ ত্রিপাঠীর ভগ্নিপতি


জানা গিয়েছে, পঙ্কজ ত্রিপাঠীর ভগ্নিপতি রেলে চাকরি করতেন। চিত্তরঞ্জনে তিনি কর্মরত ছিলেন। পরিবারের সদদ্যরা জানিয়েছেন, চিত্তরঞ্জনে ফেরার পথেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। এদিকে সবে গতবছর বাবাকে হারিয়েছেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী । তাঁর বয়েস হয়েছিল ৯৮ বছর। বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি ভুগছিলেন।আর এবার নতুন বছরে ফের যন্ত্রণায় দগ্ধ হলেন তিনি।


আরও পড়ুন, বিয়ে সারলেন রূপাঞ্জনা-রাতুল, প্রকাশ্যে 'অথৈ'র প্রথম টিজার, বিনোদনের সারাদিন


সহজপাঠ


অভিনেতার জন্মভিটে বিহারে। সেখানেই তাঁর মা-বাবা থাকতেন। মুম্বই মেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন পঙ্কজ ত্রিপাঠী। বলাইবাহুল্য, মুম্বইয়ের আর দশটা সেলেব্রেটির থেকে পঙ্কজের জীবন দর্শন অনেকটাই আলাদা। এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন। ছোটবেলায় বিনোদন বলতে ছিল, শুকনো নদীতে জল আসা। গ্রামের পর গ্রাম সেই খবর ছড়িয়ে যেত। ঘর থেকে ছুটে সেই অপরূপ দৃশ্য দেখতে যেতেন পঙ্কজ। খুব অল্প বয়েসেই পরিবারকে রক্ষা করার জন্য উপর্জনের পথ বেছে নেন। কিন্তু ওই 'বারে বারে কে যেনও ডাকে, আমারে..'। নিশি ডাকটা ছিল অভিনয়ের। সেখানেই সর্বোচ্চ স্তরে শান্তি পান, একদিন নিজেই বুঝতে পারেন পঙ্কজ। তারপর ন্যাশন্যাশ স্কুল অব ড্রামার (Delhi) জন্য পরীক্ষায় বসা। একাধিকবার পরীক্ষা দিয়ে সুযোগ না পেয়েও, হার মানেননি তিনি। শেষ অবধি জয়। বাকিটা ইতিহাস। জীবনটা তিনি ওই নদীর মতোই 'সহজ' থাকতে চেয়েছেন তিনি।মাঝেমাঝেই তা বলেন, সব জায়গায়। যার এত বিস্তার, তা নিজের দেশের বাড়িতে পৌঁছতে দেননি। ঠাহর করতে দেননি বাবাকেও। বাড়ির পরিবেশ  চিরকাল আগের মতোই রেখেছেন পঙ্কজ।