নয়াদিল্লি: কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে '৮৩' (83)। সমালোচকদের মতে রণবীর সিংহের (Ranveer Singh) জীবনের এপর্যন্ত সেরা অভিনয় এটি। এই ছবিতে তাঁকে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রাক্তন অধিনায়ক কপিল দেবের (Kapil Dev) চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যায়। এবার সেই চরিত্রই তাঁকে এনে দিল সেরা অভিনেতার (Best Actor) পুরস্কার।


সেরা অভিনেতা রণবীর সিংহ


১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপে ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রথম জয়। কপিল দেবের অধিনায়কত্বে কাপ আসে দেশে। সেই ঐতিহাসিক ঘটনাকেই সেলুলয়েডে মুড়েছেন পরিচালক কবীর খান (Kabir Khan)। অধিনায়কের ভূমিকায় রণবীর সিংহ। এবার সেই ছবির জন্য 'ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অফ মেলবোর্ন'-এ (Indian Film Festival of Melbourne) বছরের সেরা অভিনেতার পুরস্কার পেলেন রণবীর সিংহ। 


'৮৩'-র মুক্তির পর থেকে রণবীর একাধিক পুরস্কার নিয়ে গেছেন। অভিনেতার কথায়, এই ছবি চিরকাল বিশেষ হয়ে থাকবে তাঁর জীবনে। ওমিক্রনের সময়ে যখন ফের ধুঁকছে গোটা দেশ, তখন বক্স অফিসে এই ছবি খাতা খুলেছিল ১২.৬৪ কোটি টাকার ব্যবসা দিয়ে। গোটা দেশে এই ছবি মোট ১১০ কোটি টাকার ব্যবসা করে। বিশ্বজুড়ে ছবিটি মোট ২০০ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে। অতিমারীর পরে বলিউডের বক্স অফিসে ভাল সাড়া ফেলেছিল এই ছবি।


রণবীর সিংহ বলেন, 'আমার কেরিয়ারের সবচেয়ে প্রিয় চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে একটি কপিল দেবের চরিত্রে '৮৩'। এই ছবিতে আমার ভূমিকার জন্য বছরের সেরা অভিনেতার পুরস্কার দেওয়ায় আমি IFFM-এর সমস্ত জুরি সদস্যদের ধন্যবাদ জানাতে চাই! এটি আমার ফিল্মোগ্রাফিতে সর্বদা অন্যতম লালিত চলচ্চিত্র হয়ে থাকবে।'


এই ছবির জন্য পরিচালক কবীর খানকেও ধন্যবাদ জানান অভিনেতা। সেই সঙ্গে কপিল দেবের জয়ী দলের সকলকে উৎসর্গ করেন পুরস্কার। তাঁদের সম্মান জানিয়ে, তাঁদের স্বপ্নকে সম্মান জানিয়ে পুরস্কার হাতে তুলে নেন অভিনেতা। 


আরও পড়ুন: Shah Rukh Khan: মন্নতের ছাদে পতাকা উত্তোলন আব্রামের, সপরিবারে ‘হর ঘর তিরঙ্গা’ প্রচারে শাহরুখ খান


রণবীরকে সর্বসম্মতিক্রমে এই প্রজন্মের সেরা অভিনেতা হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ প্রতিবার পর্দায় নিজেকে নতুনভাবে নতুন রূপে নতুন আকারে হাজির করার ক্ষমতা রাখেন তিনি। 'ব্যান্ড বাজা বারাত' থেকে 'লুটেরা' এবং 'বাজিরাও মাস্তানি'তে তাঁর আত্মপ্রকাশ থেকে, 'পদ্মাবত' থেকে 'সিম্বা', 'গালি বয়' থেকে '83' - রণবীর গত ১০ বছরে ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অজস্র বড় বড় পারফরম্যান্স দিয়েছেন।


প্রসঙ্গত রণবীর কপূরকে এরপর দেখা যাবে কর্ণ জোহরের 'রকি অউর রানি কি প্রেম কাহানি' ও রোহিত শেট্টির 'সার্কাস' ছবিতে।