মুম্বই: অন্তিম যাত্রার পথে প্রয়াত অভিনেতা পরিচালক সতীশ কৌশিক (Satish Kaushik)। উল্লেখ্য, রঙের উৎসবটা শৈশবের বন্ধুদের সঙ্গে কাটাতে চেয়েছিলেন তিনি। সেজন্য জাভেদ আখতারের হোলি উৎসবে যোগদান করেছিলেন তিনি। হোলি পার্টির পর থেকেই তিনি অস্বস্তি বোধ করছিলেন। তখনও বোধহয়, মুম্বইবাসী জানতো না, প্রিয় পরিচালক তথা অভিনেতা, বরাবরের মতোই, মুখে একগাল হাসি নিয়েই চিরঘুমের দেশে পাড়ি দিতে চলেছেন। শেষ অবধি পাওয়া খবরে, ইতিমধ্যেই প্রয়াত অভিনেতা তথা পরিচালক সতীশ কৌশিককে শেষ দেখাটুকু দেখতে উপস্থিত হয়েছেন রণবীর কাপুর-সহ মুম্বইয়ের অন্য়ান্য তারকারা।   


প্রসঙ্গত, ৯০ এর দশকে একাধিক ছবিতে তার রঙিন উপস্থিতি অনেককেই বিস্মিত করে। সাধামাঠা ভাবেই তিনি যেনও যেকোনও চরিত্রে ঢুকে পড়ার ম্যাজিকটা জানতেন।  বয়সে বেড়া ডিঙিয়ে তিনি মন ছুঁয়ে যান সবার। কুন্দন শাহ-র একটি পলিটিক্যাল স্যাটায়ারে তিনি দুর্দান্ত অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। দক্ষিণ ভারতীয় তবলা বাদকের ভূমিকায় গোবিন্দার সঙ্গে তাঁর অভিনয়ও ভোলার নয়। মিস্টার অ্যান্ড মিসেস খিলারি ছবিতে বেস্ট কমেডিয়ান হিসাবে অভিনয় করেছিলেন অক্ষয় কুমার সঙ্গে একই ফ্রেমে।দিওয়ানা মস্তানা ছবিতে কন্ট্যাক্ট কিলারের ভূমিকায় অভিনয় করেন তিনি, গোবিন্দার বিপরীতে। বলাই বাহুল্য সেই ছবিতেও তিনি মন জয় করেছিলেন সবার।


আরও পড়ুন, নিজের জন্য ছবি বানাতে চেয়েছিলেন, সতীশ কৌশিকের প্রয়াণে মনখারাপি লেখা বলিউডের


এএনআই সূত্রে জানা গিয়েছে, সতীশ কৌশিকের পোস্টমর্টেমে, শরীরে কোনওরকম আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। হৃদরোগের কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে সূত্রের খবর। জানা গিয়েছে, হোলি খেলার পরে রাত ১১টা নাগাদ হঠাৎ অসুস্থবোধ করেন সতীশ কৌশিক। তাঁকে তখনই গুরুগ্রামের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই মৃত্যু হয় অভিনেতা পরিচালকের। তাঁর শরীরে কোনওরকম আঘাত পাওয়া যায়নি। শরীরে পাওয়া যায়নি কোনওরকম অ্যালকোহল বা অন্যান্য মাদকদ্রব্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রথম এই খবর শেয়ার করেছিলেন প্রয়াত সতীশের প্রিয় বন্ধু অনুপম খের। তিনি লিখেছিলেন,  'আমি জানি মৃত্যুই জীবনের সবচেয়ে বড় সত্যি। কিন্তু আমি স্বপ্নেও কখনও ভাবিনি, জীবনের সবচেয়ে প্রিয় বন্ধুর সম্পর্কে আমি এই কথা লিখব। আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু, সতীশ কৌশিক আর বেঁচে নেই। ৪৫ বছরের বন্ধুত্বে হঠাৎ ছেদ পড়ল। তোমায় ছাড়া জীবন আর আগের মতো থাকবে না সতীশ। ওম শান্তি।'