ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলি এই বিজ্ঞাপনটি দেখে মারাত্মক বিরক্ত, এবং দাবি ব্যাঙ্কিং পরিষেবার ওপর আমজনতার বিশ্বাস ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে এই বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে।
অল ইন্ডিয়া ব্যাঙ্ক অফিসারস কনফেডারেশন, এই সংগঠনের অধীনে ৩, ২০,০০০ সদস্য রয়েছেন। এই সংগঠনের তরফেই কল্যাণ জুয়েলার্সের বিরুদ্ধে মামলা করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে।
এআইবিওসি-র সাধারণ সম্পাদক সৌম্য দত্তের অভিযোগ, এই বিজ্ঞাপনের থিম, টোন পুরোটাই অত্যন্ত নিম্ন রুচির। সম্পূর্ণটাই বিজ্ঞাপনী সংস্থার লাভের কথা ভেবে করা হয়েছে।
তবে কল্যাণ জুয়েলার্স তাদের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছে, ব্যাঙ্ক ইউনিয়নগুলির মানসিকতা বুঝতে পেরেছে তারা। কোথায় তাদের আঘাত লেগেছে, সেটাও স্পষ্ট তাদের কাছে। কিন্তু এই পুরো বিজ্ঞাপনটিই একটি কাল্পনিক ভাবনাচিন্তা থেকে করা হয়েছে। এখানে বাস্তবের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এই সংক্রান্ত ডিসক্লেমার কল্যাণ জুয়েলার্সের তরফে আগামী তিনদিনের মধ্যে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। কোনও ব্র্যান্ড বা সংস্থাকে অসম্মানিত করার ইচ্ছে কল্যাণ জুয়েলার্সের ছিল না বলেও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপনটিতে কী আছে একবার দেখে দেওয়া যাক
বিজ্ঞাপনে দেখা যাচ্ছে অমিতাভ তাঁর মেয়ের সঙ্গে গিয়েছেন একটি ব্যাঙ্কে। প্রসঙ্গত, একমাসে দুবার পেনশনের টাকা চলে এসেছে তাঁর অ্যাকাউন্টে। সেই বাড়তি টাকা ফেরাতে গিয়ে ব্যাঙ্ককর্মীদের খারাপ ব্যবহারের সম্মুখীন হতে হয় এক বৃদ্ধকে। বৃদ্ধ বাবাকে ছায়াসঙ্গীর মতো আগলে রাখতে দেখা যায় মেয়েকে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে কল্যাণ জুয়েলার্স বোঝাতে চেয়েছে বাবার কাছে বড় ভরসার জায়গা তাঁর মেয়ে, যেমন ভরসার কল্যাণ জুয়েলার্স।