কলকাতা: প্রবাসী বাঙালি অভিনয় করবেন এক আদ্যপান্ত বাঙালির চরিত্রে। মুম্বইবাসী অভিনেতাই এবার সন্দীপ রায়ের 'ফেলুদা' (Sandip Roy)। ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (Indraneel Sengupta)। মুম্বইতে চুটিয়ে কাজ করা সত্ত্বেও তাঁর কাছে স্বপ্নের চরিত্র নাকি ছিল একটাই। 'ফেলুদা'। আর তাই সন্দীপ রায়ের বাড়িতে নিজে গিয়েছিলেন অনুরোধ করতে, 'পরের বার ফেলুদা করলে আমার কথা ভাবতে পারেন।'


'ফেলুদা' হতে গিয়ে কী আরও বেশি করে বাঙালিয়ানাকে আত্মস্থ করতে হল ইন্দ্রনীল সেনগুপ্তকে? হাসতে হাসতে অভিনেতার উত্তর, আমার মধ্যে বাঙালিয়ানা কম কারণ আমি বাংলায় বেশি থাকিনি। ২০০৮ সাল থেকে বাংলায় কাজ করতে শুরু করে তখন থেকে বাংলায় নিয়মিত কথা বলতে শুরু করি। তার আগে তো বাংলায় নিয়মিত কথাই বলা হত না। কিন্তু আমার বাবা-মা খাঁটি বাঙালি, বাড়িতে বাঙাল ভাষায় কথা বলেন। আমি যখন বাড়িতে থাকি, তখন ওঁদের সঙ্গে বাঙাল ভাষাতেই কথা বলি। কিন্তু বড় হয়ে গেলে যথারীতি মা-বাবার সঙ্গে কথা কমে যায়। বাইরে বন্ধুদের সঙ্গে ইংরাজি আর হিন্দিতে কথা বলেই সময় কাটত আমার। ২০০৯ থেকে বাংলায় কথা বলা, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা মারা, বাংলা গান শোনা, ছবি দেখা শুরু করি। আর 'হত্যাপুরী'-র প্রস্তুতি বলতে, নিজেকে ইংরাজি, হিন্দির থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করেছি যথাসম্ভব। বাংলা ছবি দেখেছি, বই পড়েছি, গান শুনেছি।'


আরও পড়ুন: Hatyapuri Exclusive: স্ত্রীকে সিঁড়িতে বসিয়ে রেখে সন্দীপ রায়ের কাছে 'কাজ চাইতে' এসেছিলেন ইন্দ্রনীল!


কথায় আছে, মাছে-ভাতে বাঙালি। ইন্দ্রনীলও কী তাই? অভিনেতা বললেন, 'যাঁরা আমার বাঙালিয়ানা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তাঁদের বলি, খাবার ব্যাপারে আমি কিন্তু এক্কেবারে বাঙালি। আমার বাবা-মাও যাকে বলে ভেতো-বাঙালি। বাঙালি খাবার প্রচণ্ড ভালোবাসি। ছোটবেলায় মা আমায় ঘুম পাড়াতেন বাংলা গান শুনিয়েই। সেই সূত্র অনেক বাংলা গান জানি আমি। আর খাবার.. আমি এমনিতেই ইলিশ খুব ভালোবাসি। মাছের মাথা দিয়ে ডাল, মুড়িঘণ্ট সবই খাই। ইদানিং সুক্তো খেতে খুব ভালো লাগছে। আর হ্যাঁ, অবশ্যই মিষ্টি। এই তো গতকালই শ্যুটিং করতে গিয়ে খিদে পেয়েছিল। রাস্তার একটা দোকানে দাঁড়িয়ে ৪টে মিষ্টি খেয়ে ফেলেছি।'