কলকাতা: তিনি উত্তর কলকাতার (North Kolkata) মেয়ে । স্কুল, টিউশন, বন্ধু, শৈশব থেকে বেড়ে ওঠা, সবটাকেই ঘিরে রয়েছে কলকাতা । তিলোত্তমার মনখারাপ যেন তাঁরও মন খারাপ করিয়ে দেয় । আর এখন যেমন তাঁর কাছে শহর প্রিয়, তেমনই শহরের কাছেও তিনি বড় প্রিয় । শহরের বাইরেও । ইশা সাহা (Ishaa Saha) । আজ মুক্তি পাচ্ছে তাঁর নতুন ছবি কলকাতা চলন্তিকা (Kolkata Chalantika) ।
কাজের তাগিদে হামেশাই বাইরে যেতে হয় ইশাকে । তখন এই শহরের সবচেয়ে বেশি কি মনে পড়ে ? এবিপি লাইভের প্রশ্নে হাসতে হাসতে ইশার উত্তর, 'মায়ের হাতের রান্না । কলকাতার বাইরে গেলে খুব মনে হয় ওখানেও যদি এই সাদামাটা খাবারটা পাওয়া যেত। আমার ওতেই স্বস্তি । ছোট থেকে বেড়ে ওঠা, ইশার সবটা ঘিরেই রয়েছে কলকাতা (Kolkata) । তাঁর কাছে এই শহরের নাম শুনলে প্রথমেই কি মনে পড়ে ? একটু ভেবে ইশা বললেন.. 'কত কিছু আছে... একটা দুটো বলে শেষ করা যাবে না । কলকাতা মানে আমার কাছে লঞ্চে করে বাগবাজার থেকে হাওড়া, গিরিশ মঞ্চের উল্টোদিকের ফুলুরির দোকান.. কলকাতা মানে আমার কাছে গোলবাড়ির কষা মাংস নয়, সকালবেলা যখন ওই মাংসটা রান্না হয়, সেই গন্ধটা নাকে নিয়ে ছুট্টে রাস্তা পার হওয়া.. সব বন্ধুরা বাসে ফিরলেও ট্রামে চড়ে ফেরা.. আমি উত্তর কলকাতায় মানুষ.. এর সবগুলোই আমি করেছি ।'
আরও পড়ুন: Ranbir Kapoor: ক্ষমা চাইলেন রণবীর কপূর
সৌরভের (Sourav Das) সঙ্গে এর আগে দুটো কাজ করে ফেলেছেন ইশা । এই ছবিতেও তাঁর বিপরীতে সৌরভই । সেই সমীকরণই কি প্রাণ দিল বাইচুং আর টুম্পার রসায়নে ? ইশা বলছেন, 'সহ অভিনেতা ভালো হলে অভিনয় অনেক সহজ হয়ে যায় । সংলাপের ধরা আর ছাড়ার মধ্যেও যে অভিনয়টা থাকে সেটাতেও ফুটে ওঠে সমীকরণটা ।'
আর পাভেলের (Pavel) সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা ? হাসতে হাসতে ইশার উত্তর, 'পাভেলদাকে তো এখন সরাসরিই বলি, ও পাগল । তবে ওর পাগলামিটা কাজের জন্য, ভালোর জন্য । ও পাগলামিটা গোটা ফ্লোরে ছড়িয়ে দেয় যাতে কাজটা আরও ভালো হয় ।'