মুম্বই: জিয়া খান মৃত্যু মামলায় নয়া মোড়। অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার মামলা দায়ের হয়েছিল সুরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে। সেই মামলা এবার উঠল সিবিআই আদালতে। গত ৮ বছর ধরে এই মামলা চলেছিল ধীরগতিতে। সিবিআই আদালতে স্থানান্তরিত হওয়ায় এই মামলার দ্রুত নিস্পত্তি হবে বলে আশায় পরিবার।


২০১৩ সালের ৩ মে মুম্বইয়ের বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃতদেহ। জিয়ার দেহের সঙ্গে পাওয়া গিয়েছিল একটি চিঠি। সেই চিঠি সুরজ পাঞ্চোলিকে উদ্দেশ্য় করে লেখা। জিয়া লিখেছিলেন, 'আমি অনেক স্বপ্ন দেখেছিলাম তোমার সঙ্গে একসঙ্গে থাকার! আমার সব স্বপ্ন ভেঙে গেল' লিখেছিলেন, অন্তসত্ত্বা ছিলেন তিনি। চিঠিতে উঠে এসেছিল জিয়া ও সূর্যের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কথা।


সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিলেন জিয়ার মা রাবিয়া খান। বিস্ফোরক সেই ভিডিওতে রাবিয়া বলেছিলেন অনেক কথাই। বলেছিলেন, 'এবার বলিউড-কে সজাগ হতে হবে।বলিউডের এই 'দাদাগিরি'র অবসান হয় উচিত।এই 'দাদাগিরি' কাউকে মারার চাইতে কোনও অংশে কম কিছু না। আজ যা হচ্ছে, তা দেখে আমার ২০১৫-র কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। লন্ডন থেকে এক সিবিআই অফিসার আমাকে ডেকে পাঠান। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে বলেন, ''আপনি আসুন, আমার একটা গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ পেয়েছি।' আমি সেখানে গেলে তিনি বলেন, ''সলমান খান আমাকে ফোন করেছিলেন। উনি প্রতিদিনই আমাকে ফোন করছেন আর বলছেন, উনি অনেক পয়সা খরচ করেছেন।দয়া করে এই ছেলেটাকে (সুরজ পাঞ্চালি) আর বিরক্ত করবেন না, ওকে আর জিজ্ঞাসাবাদ করারও প্রয়োজন নেই।ওকে ছোঁয়ার কথাই ভুলে যান।এবার বলুন আমার কী করব ম্যাডাম।''তাঁকে দেখে মনে হচ্ছিল তিনি খুবই হতাশ। এই বিষয়টা আমি দিল্লির বর্ষীয়ান সিবিআই আধিকারিককেও জানাই, সেখানে এর বিরুদ্ধে নালিশ জানাই।'


রাবিয়া আরও বলেন, 'ক্ষমতা ও অর্থের অপব্যবহার করে যদি কোনও মৃত্যুর ঘটনাকে এইভাবে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়, তাহলে আমরা সাধারণ মানুষরা কোথায় যাব। কার কাছে যাব? আমি শুধু একটাই কথা বলতে চাই, আপনার উঠে দাঁড়ান, লড়াই করুন, দরকারের রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ জানান, বলিউডের এমন বিষাক্ত ব্যবহার এবার শেষ হয় উচিত।'