নয়াদিল্লি: কমল আর খান (Kamaal R Khan), ওরফে কেআরকে, ভর্তি হলেন হাসপাতালে। মঙ্গলবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয় বিতর্কিত ট্যুইটের অভিযোগে। তারপরই অসুস্থতার কথা জানান তিনি। নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে।


হাসপাতালে কেআরকে


মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বুকে যন্ত্রণা হচ্ছে বলে জানান কমল আর খান। সেই কারণে বিতর্কিত ট্যুইট করার অভিযোগে গ্রেফতার অভিনেতাকে নিয়ে যাওয়া হয় মুম্বইয়েরই কান্দিভলি অঞ্চলের শতাব্দী হাসপাতালে। খবর এএনআই সূত্রে। কেআরকে-কে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছে বোরিভেলি আদালত। ২০২০ সালে প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খান (Irrfan Khan) ও ঋষি কপূরকে (Rishi Kapoor) নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।


গ্রেফতার কমল আর খান


মঙ্গলবার বিমানবন্দরে তাঁকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তারপরেই গ্রেফতারি। ২০২০ সালে ইরফান খান ও ঋষি কপূরকে নিয়ে করা কেআরকে-র ট্যুইটের বিরুদ্ধে যুব সেনা সদস্য রাহুল কনল (Rahul Kanal) মালাড পুলিশ স্টেশনে কমল আর খানের নামে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। 


আরও পড়ুন: Kartik Aaryan: অনুরাগী, বিশেষ করে ছোটদের জন্য বড় চমক কার্তিক আরিয়ানের


বিতর্কিত ট্যুইটের জন্যই বিশেষ খ্যাত কেআরকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রয়াত দুই অভিনেতা ইরফান ও ঋষি কপূরকে আক্রমণ করে করা কেআরকে-র ট্যুইটের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিসও জারি করা হয়। ২০২০ সালেই এফআইআরও দায়ের হয় তাঁর বিরুদ্ধে। মামলাকারী যুব সেনা নেতা রাহুল কনল। ৩০ অগাস্ট তাঁকে বোরিভেলি আদালতে পেশ করা হয়। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৪, ৫০০, ৫০১, ৫০৫, ৬৭, ৯৮ ধারার অধীনে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে।


অভিযোগকারী রাহুল কনল এদিন বলেন, 'কমল আর খান আমার অভিযোগের ভিত্তিতে আজ গ্রেফতার হয়েছেন। মুম্বই পুলিশের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় নিম্নমানের মন্তব্য করেন এবং খারাপ ভাষা ব্যবহার করেন। সমাজে এমন ব্যবহার মেনে নেওয়া যায় না। ওঁর গ্রেফতারি সমাজের এমন ধরনের মানুষের কাছে কঠোর বার্তা পৌঁছে দেবে।'


ইরফান খান প্রয়াত হন ২০২০ সালের ২৯ এপ্রিল, যার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ঋষি কপূর। আর সেই সময়েই তাঁদের অসুস্থতা নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট করেছিলেন কেআরকে। সম্প্রতি বলিউড অভিনেত্রী অনুষ্কা শর্মা প্রসঙ্গেও বিতর্কিত মন্তব্য করেন কমল আর খান। তিনি বলেন অনুষ্কার জন্যই নাকি তাঁর স্বামী, ক্রিকেটার বিরাট কোহলি 'অবসাদ'-এর শিকার।