Karishma Kapoor: প্রিয়ার পরে করিশ্মার পরিবার, সঞ্জয় কপূরের জন্মদিনে এল বিশেষ বার্তা! কী রইল তাতে?
Sunjay Kapoor: সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন করিনা। সেই কেকের ওপর লেখা, 'শুভ জন্মদিন বাবা'। সঙ্গে করিনা লিখেছেন, 'আমার স্যাম এবং কিউ, বাবা সবসময় তোমাদের রক্ষা করছেন।'

কলকাতা: সঞ্জয় কপূরের (Sunjay Kapoor) মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর বিপুল সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়েছে দড়ি টানাটানি। সেই সম্পত্তিতে ভাগ কার? প্রাক্তন স্ত্রী করিশ্মা কপূর (Karishma Kapoor) আর তাঁর দুই সন্তানের? নাকি সঞ্জয় কপূরের বর্তমান স্ত্রী পিয়া সচদেব আর তাঁর সন্তানের? নাকি সঞ্জয়ের ২ দিদির? এই নিয়ে মামলা চলছে আদালতে, পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন পোস্ট করে চলেছেন, ২ পক্ষ। প্রিয়া সচদেব এর আগে, সঞ্জয় কপূরের জন্য একটি পোস্ট করেছিলেন। আর এবার, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কী বার্তা দিলেন করিনা?
সোশ্যাল মিডিয়ায় করিশ্মা কপূর ততটা সক্রিয় নন, সেই কারণেই সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছেন করিনা। সেই কেকের ওপর লেখা, 'শুভ জন্মদিন বাবা'। সঙ্গে করিনা লিখেছেন, 'আমার স্যাম এবং কিউ, বাবা সবসময় তোমাদের রক্ষা করছেন।' সঙ্গে একটি হার্ট ইমোজিও পোস্ট করেছেন করিনা। এই ছবি থেকেই বোঝা যায়, বাবা না থাকলেও, করিশ্মার ২ সন্তান এখনও মিস করেন তাঁদের বাবাকে। সেই কারণে, বাবা না থাকাকালীনও কেক কেটে বাবার জন্মদিন উদযাপন করছেন ছেলে এবং মেয়ে। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবিও পোস্ট করেছেন করিনা।

প্রসঙ্গত, প্রিয়া সচদেব ও করিশ্মা কপূরের মধ্যে মামলা চলছে সঞ্জয় কপূরের সম্পত্তি নিয়ে। দিল্লি হাইকোর্টে সঞ্জয় কাপূরে স্ত্রী প্রিয়া সচদেবের আইনজীবী জানান, করিশ্মা কপূরের সন্তানদের আবেদনে উইলের কোনও চ্যালেঞ্জ জানানো হয়নি, এমনকি কোনও আইনি কারণও উল্লেখ করা হয়নি। ৩০ জুলাই উইল প্রকাশ্যে আনা হয় এবং সকলকে পড়ে শোনানো হয়। তবুও ৯ সেপ্টেম্বর দায়ের করা আবেদনে এর কোনও উল্লেখ নেই। উইল ১৫ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে দেওয়া হয়, কিন্তু তাঁরা তাঁদের দাবিতে কোনো সংশোধন করেননি। দিল্লি হাইকোর্টে এদিন প্রিয়া সচদেবের আইনজীবী বলেন, এই মামলা উইলটি সঠিক কি না, সেটা প্রমাণ করার প্রক্রিয়া নিয়ে নয় এবং উইলের বৈধতা নিয়ে কোনও সরাসরি প্রশ্ন তোলা হয়নি। আদালতে সওয়াল করে তিনি বলেন, যদি কারও নামের বানান ভুল লেখা হয়, অথবা Testator-এর জায়গায় Testatrix লেখা হয়, তাহলে কি সেই উইল অবৈধ হয়ে যাবে? এত সামান্য ভুলত্রুটির কারণে কি কোনও ব্যক্তির শেষ ইচ্ছাকে অস্বীকার করা যেতে পারে?
দিল্লি হাইকোর্টে প্রিয়া সচদেবের আইনজীবী সওয়াল করে বলেন, উইলে সঞ্জয় কাপূরের স্বাক্ষরের বিরোধিতা কেউ করেননি। শুধুমাত্র এই কারণে যে উইল দেরিতে সামনে এসেছে, সেটাকে মিথ্যা বলা যায় না। উইল বছরের পর বছর ধরে কারও পকেটে বা লকারে থাকতে পারে, এতে তার সত্যতার ওপর কোনো প্রভাব পড়ে না। দিল্লি আদালতে সঞ্জয় কাপূরের সন্তানেরা দাবি করেন যে, উইলে তাঁদের নাম ভুল লেখা হয়েছে এবং অনেক জায়গায় তাঁদের ঠিকানা ভুল দেওয়া হয়েছে। এটা তাঁদের বাবার মতো বুদ্ধিমান মানুষের থেকে প্রত্যাশা করা যায় না। তাঁরা বলেন, এই উইল জাল এবং অপমানজনক। আপাতত দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলার শুনানি করবে শুক্রবার। এই পরিস্থিতিতে সবার নজর রয়েছে যে, সঞ্জয় কাপূরের উইলের এই বিবাদে কার জয় হয়।























