Karishma Kapoor: দলিল জাল করে হাতিয়ে নেওয়া চেষ্টা করা হয়েছে সম্পত্তি, দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ করিশ্মার পুত্র-কন্যা
Sunjay Kapoor: দিল্লি হাইকোর্টে করিশ্মা কপূরের আইনজীবী আরও বলেছেন যে, এই দলিলটি এতটাই জঘন্যভাবে নকল করা হয়েছে যে, যে কোনও আইনজীবী এটি দেখেই বুঝতে পারবেন।

কলকাতা: প্রয়াত শিল্পপতি সঞ্জয় কপূরের (Sunjay Kapoor) প্রায় ৩০,০০০ কোটি টাকার সাম্রাজ্য নিয়ে ফের নতুন সমস্যা। করিশ্মা কপূরের (Karishma Kapoor) ছেলে আর মেয়ে সম্প্রতিই দিল্লি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন বাবার সম্পত্তির ভাগ চেয়ে। সঞ্জয় কপূরের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর সম্পত্তি নিয়ে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। কে সেই সম্পত্তি পাবে, সেই নিয়ে বিভিন্ন জল্পনা-কল্পনা ছিলই। আর এবার, করিশ্মার দুই সন্তান দাবি করেছেন, মৃত সঞ্জয় কপূরের যে দলিল আদালতে পেশ করা হয়েছে, তা সবই নকল। সবটাই নাকি সুপরিকল্পিত জালিয়াতি। দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে বাবার সম্পত্তির ভাগ চেয়েছেন করিশ্মার পুত্র ও কন্যা।
দিল্লি হাইকোর্টে বলিউড অভিনেত্রী করিশ্মা কপূরের সন্তানদের তরফে পেশ হওয়া সিনিয়র আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি আদালতে বলেছেন যে, এটা অত্যন্ত সন্দেহজনক যে, একজন শিক্ষিত, আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ব্যবসায়ী সঞ্জয় কাপূর তাঁর উইলে যে ব্যক্তিকে এক্সিকিউটর বানাচ্ছেন, তাঁকে সে বিষয়ে কোনও খবরই দেওয়া হয়নি। আদালতে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, এত শিক্ষিত এবং পরিশীলিত একজন ব্যক্তি, কোনওরকম খবর না দিয়ে উইল তৈরি করবেন, এটা স্বাভাবিক নয়। এটাই প্রমাণ করে যে এই দলিলটি জাল করা হয়েছে।
দিল্লি হাইকোর্টে করিশ্মা কপূরের আইনজীবী আরও বলেছেন যে, এই দলিলটি এতটাই জঘন্যভাবে নকল করা হয়েছে যে, যে কোনও আইনজীবী এটি দেখেই বুঝতে পারবেন। আইনজীবী আদালতে বলেন, এই দলিলটি মাইক্রোসফট ওয়ার্ড ফাইলে তৈরি করা হয়েছিল এবং শেষবার ১৭ মার্চে এটিকে এডিট করা হয়েছে। সেই সময় সঞ্জয় কাপূ তাঁর ছেলের সঙ্গে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। এই পরিস্থিতিতে প্রশ্ন হল, যদি তাঁরা ছুটিতে ছিলেন, তাহলে এই দলিলটি কে পরিবর্তন করল? কোন ডিভাইস থেকে এবং কেন সেই ব্যক্তিকেই পরে কোম্পানিতে ডিরেক্টর বানানো হল?
দিল্লি হাইকোর্ট এরপরে জানতে চায় যে, দলিলের সাক্ষীরা হলফনামা দিয়েছে কিনা? তখন আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি জানান যে, এখনA পর্যন্ত কেউ দেয়নি। তিনি বলেন, সঞ্জয় কাপূরের দ্বিতীয় স্ত্রী প্রিয়া কাপূর কিছু সম্পত্তির নমিনি হিসাবে নিজের নাম লিখিয়ে নিয়েছেন। কিন্তু এটা নাকি প্রিয়া কপূরের অধিকার নয়, প্রতারণা করে প্রিয়া এটা হস্তগত করেছেন। দিল্লি হাইকোর্টে মামলার শুনানির সময় আইনজীবী মহেশ জেঠমালানি আদালতের কাছে আবেদন করেন যে, সম্পত্তিগুলি যাতে তৃতীয় পক্ষের হাতে না চলে যায়, সেই কারণে এই মামলা এখনও স্থগিত করা হোক। করিশ্মার আইনজীবী আদালতে আরও যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রথমবার জুলাই ২০২২-এ জানানো হয়েছিল, তাও সাক্ষীদের মাধ্যমে, কোনও আইনি নোটিশের মাধ্যমে নয়। দিল্লি হাইকোর্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ১৩ অক্টোবর ধার্য করেছে।






















