কলকাতা: কে কে-র মৃত্যু থেকে শিক্ষা নিল কলকাতা? কলেজ-ফেস্ট নিয়ে সতর্ক হল সরকার। ‘কলেজের কনসার্টে কী ধরনের পরিকাঠামো, জানাতে হবে জানাতে হবে শিক্ষা দফতরকে’, নজরুল মঞ্চে বিশৃঙ্খলার প্রেক্ষিতে জানালেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
আজ ব্রাত্য বসু বলেন, 'এটা একটা দুর্ভাগ্যজনক, অনভিপ্রেত ও বেদনাদায়ক ঘটনা। মুখ্যমন্ত্রী দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করেছেন। পরবর্তী ক্ষেত্রে বিশ্ব বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে একটা ডায়লগ ওপেন করে আমরা আলোচনা করার কথা ভাবতে পারি। কী কী প্রতিষেধক তাঁরা নিয়েছেন, জানাতে হবে সরকারকে। আমরা কথা বলে দেখব।'
নজরুল মঞ্চে নজিরবিহীন বিশৃঙ্খলার অভিযোগ উঠেছিল কে কে-র অনুষ্ঠানে। দুই দিন কলকাতায় অনুষ্ঠান ছিল কে কে-র। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠান ছিল নজরুল মঞ্চে। আয়োজন করেছিল তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। স্যার গুরুদাস কলেজের ফেস্টে আমন্ত্রিত ছিলেন কে কে। গুরুদাস মঞ্চে বসবার জায়গা ২০০০ থেকে ২৫০০০ মানুষের। ১ তারিখ কে কে-র অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রায় ৭০০০ মানুষ। এও অভিযোগ, ভিড় ঠেকাতে অগ্নি নির্বাপণ স্প্রে করা হয়। কাজ হয়নি। ভেঙে যায় ভিআইপি গেটের দরজা।
কে কে দেখার উচ্ছাসে 'টিকিট নেই' পোস্টার মানেননি দর্শকেরা। পাঁচিল টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করেন অনেকেই। এদিকে বদ্ধ নজরুল মঞ্চে ততক্ষণে গরম বাড়ছে। মঞ্চে কে কে গান গাইতে গাইতে বার বার ঘাম মুছছিলেন, দর্শকদের কিছুটা মজা করেই দেখাচ্ছিলেন ঘামে ভেজা টি শার্ট। জল খাচ্ছিলেন বার বার, বিরতিতে বিশ্রামও নেন ব্য়াকস্টেজে গিয়ে। বার বার বলেন এসি কাজ করছে না, বলেছিলেন স্পটলাইট নিভিয়ে দিতে। শোনা হয়নি সেই কথা। অডিটোরিয়ামে তখন তিল ধারণের জায়গা নেই। শেষ গান গেয়েছিলেন, হাম রহে ইয়া না রহে কাল.. কাল ইয়াদ আয়েঙ্গে ইয়ে পল..'।
আরও পড়ুন: Rahul Banerjee: কাকে চুম্বন করে রাহুল বললেন 'এই অ্যাত্তোটা ভালোবাসি'?
গান শেষ করে যখন নিরাপত্তার বলয়ে নজরুল মঞ্চ ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছিলেন কে কে, তখন কিছুটা অসুস্থ বোধ করছিলেন তিনি। কিন্তু তখনও তাঁর হাজার হাজার অনুরাগী ভাবতে পারেননি, তাঁর বিখ্যাত গানের কথাগুলো এমন নির্মমভাবে সত্যি হয়ে যাবে। নিজেও কী ভাবতে পেরেছিলেন কে কে?