(Source: ECI | ABP NEWS)
Bengali Film: মমতা শঙ্কর, জয় সেনগুপ্তের সিনেমা 'পিঞ্জর' তুলে ধরবে খাঁচায় বন্দি থাকা সমাজের গল্প
Mamata Shankar New Film: এই ছবি সম্পর্কে পরিচালক বলছেন, 'আমরা নিজেরাই, সমাজে যে খাঁচাগুলি তৈরি করেছি, 'পিঞ্জর' সিনেমাটার মধ্যে দিয়ে আমরা সেই খাঁচা তৈরির প্রথারই প্রতিবাদ করতে চাই।'

কলকাতা: রুদ্রজিৎ রায়ের পরিচালনায় আছে নতুন সিনেমা, 'পিঞ্জর'। ছবিতি ইতিমধ্যেই তৈরি হয়ে গিয়েছে, দেখানো হয়েছে বিভিন্ন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালেও। ১৬তম চিকাগো সাউথ এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল, ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল সিডনি সহ একাধিক জায়গায় ছবিটি ইতিমধ্যেই দেখানো হয়েছে। ৩১তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবেও ছবিটি দেখানো হবে। খুব তাড়াতাড়িই সিনেমাটি সাধারণ দর্শকদের জন্য বড়পর্দাতেও মুক্তি পাবে।
এই সিনেমার মুখ্যভূমিকায় অভিনয় করছেন, জয় সেনগুপ্ত (Joy Sengupta), শতাক্ষী নন্দী (Satakshi Nandy), সাগ্নিক মুখোপাধ্যায় (Sagnik Mukherjee), সমীরুল আলম (Samiul Alam), মল্লিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mallika Banerjee), ঈশান মজুমদার (Ishan Mazumder), তথাগত মুখোপাধ্যায় (Tathagata Mukherjee) ও অন্যান্যরা। ছবিটির আবহসঙ্গীতের দায়িত্বে রয়েছেন রাতুল শঙ্কর। ছবিতে বিশেষ উপস্থিতি রয়েছে মমতা শঙ্করের (Mamata Shankar)।
ঝিমলি, পারমিতা, শেফালি, তারক ও ইকবালের জীবনকে, এই সিনেমার মধ্যে দিয়ে তুলে ধরা হয়েছে। এই ছবি একটা সমাজের প্রতিচ্ছবি, যেখানে অশিক্ষা, দারিদ্র্য, ধর্ম, গোঁড়ামি ও গার্হস্থ্য হিংসা মানুষের আত্মাকে যেন বন্দি করে রাখে। জঙ্গলের পাখিকে যদি জোর করে ধরে এনে খাঁচায় বেঁধে ফেলা হয়, সেটা যেন এই সমাজের এক নীরব প্রতীক। যেখানে নিষ্ঠুরতা ও আত্মসমর্পণকে আমরা প্রতিদিনই স্বাভাবিক বলে মেনে নিই। দুই বছরের গবেষণা ও গ্রামীণ মানুষের অভিজ্ঞতা থেকে নির্মিত 'পিঞ্জর' অবৈধ পাখি ধরার প্রথাকে দেখেছে বাস্তবতার চোখে, আবার কবিতার সংবেদন দিয়ে। প্রতিটি দৃশ্যেই পাখিদের সুরক্ষা ও মুক্তি নিশ্চিত করা হয়েছে, যেন বাস্তবেই খাঁচা খুলে দেওয়া যায়। এই ছবির মধ্যে দিয়ে যেন খাঁচা খুলে, পাখিকে উড়তে দেওয়ার কথাই বলা হয়েছে।
এই ছবি সম্পর্কে পরিচালক বলছেন, 'আমরা নিজেরাই, সমাজে যে খাঁচাগুলি তৈরি করেছি, 'পিঞ্জর' সিনেমাটার মধ্যে দিয়ে আমরা সেই খাঁচা তৈরির প্রথারই প্রতিবাদ করতে চাই। খাঁচা তো প্রত্যেককে ঘিরেই রয়েছে, তা সে পাখি হোক বা মানুষ। এই ছবির ৫টী মূল চরিত্রের মধ্যে যেমন আবেগ রয়েছে, তেমনই সামাজিক বোধ রয়েছে, ঈশ্বরিক চেতনা রয়েছে.. সমাজের বিভিন্ন ওঠাপড়াকেই তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে এই সিনেমার মাধ্যমে। এই সিনেমাটা যেমন একদিকে দর্শককে কাঁদাবে, তেমনই সমাজের ক্রুরতার একটা নগ্ন ছবি তুলে ধরবে। আশা করছি দর্শকদের সিনেমাটি ভাল লাগবে।'
View this post on Instagram























