কলকাতা: বছর ২০ আগে একটি বাংলা ছবি মুক্তি পায়। শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের প্রযোজনায়, হরনাথ চক্রবর্তীর পরিচালনায়। নবাগত নায়ক জিৎ (Jeet)। তাঁর বিপরীতে নায়িকা প্রিয়ঙ্কা ত্রিবেদী। ছবির নাম 'সাথী' (Sathi)। ছবিটি মুক্তি পাওয়ার পর বক্স অফিসে যেন কার্যত ঝড় ওঠে। ব্যবসার দিক থেকে হিসেব করলে এই ছবি সবথেকে বেশি ব্যবসা করা বাংলা ছবির তালিকায় ২০ বছর পরও বেশ উপরের দিকেই থাকবে। 'সাথী' ছবির প্রত্যেকটি গানই দুর্দান্ত জনপ্রিয় হয়। কিন্তু যে গান আজকের দিনেও একইরকমভাবে জনপ্রিয় থেকে গিয়েছে, তা অবশ্যই 'ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও... এই গান আমার...।' আট থেকে আশি, বাংলা ছবির সমস্ত বয়সের দর্শকদেরই কম বেশি এই গানে মজে থাকতে দেখা গিয়েছে। আর এই গান যিনি গিয়েছেন, তিনি দক্ষিণের জনপ্রিয় গায়ক মানো (Mano)। আজ তাঁর জন্মদিন। একনজরে দেখে নেওয়া তাঁর সম্পর্কে অজানা কিছু তথ্য।


জনপ্রিয় গায়ক মানোর সম্পর্কে অজানা তথ্য-


তাঁর আসল নাম নাগর বাবু। কিন্তু মঞ্চে বা শ্রোতাদের কাছে তিনি মানো নামেই পরিচিত। একাধারে বহু প্রতীভার অধিকারী তিনি। প্লেব্যাক সিঙ্গার থেকে ভয়েস ওভার আর্টিস্ট, অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন অ্যাঙ্কর এবং সঙ্গীত পরিচালকও। প্রায় ৩০ হাজার গান গেয়েছেন মানো। বাংলা ছাড়াও তামিল, তেলুগু, ওড়িয়া, মাসালম, কন্নড়, হিন্দি ছবির জনপ্রিয় সমস্ত গান তাঁরই গাওয়া। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যেতেই পারে, 'সত্য' ছবির 'গোলিমার' কিংবা 'জোশ' ছবির 'সাইলারো'। এ আর রহমানের সুরে 'হমসে হ্যায় মুকাবলা' ছবির 'মুকাবলা' গানটি তাঁরই গাওয়া। প্রায় পাঁচশোরও বেশি গান তো তিনি গেয়েছেন সঙ্গীত পরিচালক ইলাইয়া রাজার জন্য। 'মুথু' ছবিতে রজনীকান্তের জন্য তেলুগুতে গলা দেওয়া তাঁর বা ডাবিং আর্টিস্ট তিনিই। শুধু গান গাওয়াই নয়, দক্ষিণের বহু ছবিতে অভিনেতা হিসেবে দেখা গিয়েছে মানোকে। ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডস থেকে তামিলনাড়ু স্টেট ফিল্ম অ্যাওয়ার্ডস। মানোর ঝুলিতে পুরস্কার অনেক। তেলুগু ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় ডাবিং আর্টিস্ট তিনি।






'সাথী', 'সঙ্গী' ছবির বেশ কিছু গান মানোর গাওয়া। 'আলতো ছোঁয়াতে', 'এই গান মনের খাতাতে', 'বন্ধু বলে ডাকো যারে' এবং আরও অনেক গান তিনি গেয়েছেন। তাঁকে জন্মদিনের অনেক শুভেচ্ছা।


আরও পড়ুন - Thank God Movie Review: পাপ-পূণ্যের হিসেব নিয়ে পারিবারিক বিনোদনের ছবি 'থ্যাঙ্ক গড'