কলকাতা: তখন সদ্য মুক্তি পেয়েছে 'মুক্তধারা' (Muktodhara)। প্রশংসিত হচ্ছে বিভিন্ন মহলে। হঠাৎ অচেনা এক ব্যক্তির ফোন উইন্ডোজ়-এর অফিসে। নন্দিতা রায় (Nandita Roy) ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Shiboproshad Mukherjee)-র কাছে। বললেন, দেখা করতে চান। পরিচালকদ্বয় হয়তো ভেবেছিলেন, ছবির প্রশংসা করার জন্যই আসছেন তিনি। তবে দেখা করে অবাক দুই পরিচালক! এ কি বলছেন এই ভদ্রলোক! এও কি সম্ভব! 'বহুরূপী' বানানোর গল্পের আড়ালে রয়েছেন যে ব্যক্তি, যাঁর জীবনের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে 'বহুরূপী', সেই গল্পই শোনালেন পরিচালক নন্দিতা রায়। 


'মুক্তধারা' মুক্তির পরে এক ভদ্রলোক আসেন উইন্ডোজ়-এ। নন্দিতা বলছেন, 'এক ভদ্রলোক ছবি মুক্তির পরে আমাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। বলেন.. 'এ কেমন ছবি বানিয়েছেন! একটুও আকর্ষণীয় নয়। আমার গল্পটা শুনুন তবে। অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আমি সাতাশটা ব্যাঙ্ক ডাকাতি করেছি। পুলিশ আমায় ধরতে পারেনি।' সেই কথা শুনে অবাক হয়েছিলেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় আর নন্দিতা রায় দুজনেই। তবে সেই সময়ে তেমন গল্প তৈরির মতো পুঁজি ছিল না শিবপ্রসাদদের। তখনও থ্রিলার ঘরানায় পা রাখেননি তাঁরা। এখানেই শেষ নয়, নন্দিতা রায় জানিয়েছেন, গল্প বলে যাওয়ার পরে নাকি নিয়মিত শিবপ্রসাদ-নন্দিতাকে ফোন করতেন সেই লোকটি বলতেন, 'আমায় নিয়ে ছবি কবে বানাচ্ছেন'। সেই থেকেই মাথায় ঘুরছিল ব্যাঙ্ক ডাকাতের গল্প। ১২ বছর পরে, অবশেষে সেই ছবিরা কাজে হাত দেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা। তৈরি হয় উইন্ডোজ়-এর সবচেয়ে বিগ বাজেট ছবি। 'বহুরূপী'। 


তবে কেন এই কুখ্যাত ব্যাঙ্ক ডাকাতের চরিত্রের জন্য শিবপ্রসাদকেই পছন্দ হয়েছিল নন্দিতার? পরিচালক বলছেন, 'সেই ব্য়াঙ্ক ডাকাতের চেহারার মধ্যে কোনও বিশেষত্ব ছিল না। সে অনায়াসেই আর পাঁচটা মানুষের মধ্যে মিশে যেতে পারত। তাকে আলাদা করে মনে রাখার মতো কিছুই নেই। আমার মনে হয়েছিল, এত সাদামাটা চরিত্রের জন্য শিবপ্রসাদই সেরা। ওর চেহারার মধ্যে যে সাদামাটা ভাব রয়েছে, সেটাই ওর ইউএসপি এই ছবির জন্য। সেই কারণেই শিবপ্রসাদকে বাছা।'


প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে 'বহুরূপী', দর্শকদের মধ্যে বেশ প্রশংসিতও হয়েছে।



আরও পড়ুন: Priyanka Mitra: জীবনের নতুন অধ্যায়, আইনি বিয়ে সারলেন ছোটপর্দার অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।