তোর্ষা ভট্টাচার্য্য, কলকাতা: এই প্রথম কোনও ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য শ্যুট করছিলেন শিবপ্রসাদ (Shiboproshad Mukherjee) ও নন্দিতা (Nandita Roy)। ছবির শেষ দৃশ্যকে আবেগ দিয়ে বাঁধতে তাঁদের জুড়ি মেলা ভার, তবে অ্যাকশন সিকোয়েন্স? 'রক্তবীজ' (Roktobeej)-এর ক্লাইম্যাক্সে প্রয়োজন ছিল সেটাই। ১৫ হাজার জুনিয়র শিল্পীর সঙ্গে সঙ্গে, সেই দৃশ্যে প্রয়োজন ছিল ৩০০ ছাগল! এবিপি লাইভকে (ABP Live) সেই গল্প শোনালেন স্বয়ং ছবির পরিচালক নন্দিতা। 


ছবির ক্লাইম্যাক্সে গোটা ছবির সমস্ত চরিত্ররাই ছিলেন। আবীর চট্টোপাধ্যায় (Abir Chatterjee), মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty), ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় (Victor Banerjee) ও প্রায় সব চরিত্ররাই। সেই সঙ্গে ছিল ৩০০ ছাগল। নন্দিতা বলছেন, 'আমাদের অ্যাকশন ডিরেক্টর মনোহর বর্মা আমায় বার বার প্রশ্ন করছিলেন, ওঁকে কতগুলো ছাগল নিয়ে কাজ করতে হবে? কারণ ওঁর মতে, এক এক প্রদেশের ছাগলেরা একেক রকম ব্যবহার করে। উনি জানতে চাইছিলেন, আমাদের রাজ্যের ছাগলেরা ঠিক কেমন ব্যবহার করে বা তারা নির্দেশ মতো ডানদিকে, বাঁদিকে যাবে কি না। আর হ্যাঁ.. অত ছোট ছাগল দেখে বেশ মনখারাপই হয়েছিল ওঁর।'


এখানেই শেষ নয়.. পরিচালক আরও বলেন, 'আমরা আপাতভাবে হিসেব করি, ৩০০টা ছাগল প্রয়োজন ক্লাইম্যাক্স সিকোয়েন্সের জন্য। শুরু হল সেই ৩০০টা ছাগল জোগাড়ের কাজ। আমাদের টিম ২ দিন ধরে গ্রামের সমস্ত বাড়িতে গিয়ে, তাদের বুঝিয়ে তাদের ছাগলগুলো কয়েক ঘণ্টার জন্য ধার নিয়ে এল। কিন্তু তারপরে শুরু হল আরেক বিপত্তি। সব বাড়ি থেকে ছাগল এল বটে, কিন্তু তাদের মিশিয়ে ফেললে তো চেনা মুশকিল। ৩০০ ছাগল একসঙ্গে মিশে গেলে আর ফেরানো যাবে না মালিকদের। ফলে শুরু হল ছাগলদের আলাদা আলাদা ভাবে চিহ্নিত করা। সে একটা বিশাল যজ্ঞ। এখন মনে হয় কীভাবে সব হল।'


ছবির মুখ্যচরিত্রদের সঙ্গে ক্লাইম্যাক্স দৃশ্য়ে অভিনয় করা নিয়েও খুশি নন্দিতা। বলছেন, 'মিমি আর আবীরের শট ছিল বাঁশের ব্যারিকেডের ওপর দিয়ে লাফানোর। সেটা ওরা এত দুর্দান্ত নিপুণভাবে করে দেখিয়েছে, আমি অবাক। সব কাজটাই ভীষণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছিল।'


পুজোর সময় মুক্তি পেয়েছে 'রক্তবীজ' ছবিটি। প্রথম থ্রিলার ঘরানার ছবিতে পা রেখেই প্রশংসিত হয়েছেন শিবপ্রসাদ-নন্দিতা।


আরও পড়ুন: Roktobeej Success Party: 'রক্তবীজ' দেখেছেন? পার্ট ২ -এর অপেক্ষা করছেন? কবে আসবে সিক্যুয়েল?