(Source: Poll of Polls)
Satish Shah: অসুস্থ স্ত্রী, তাঁর দেখাশোনা করার জন্য আরও বেশিদিন বাঁচতে বড় পদক্ষেপ নিয়েছিলেন সতীশ!
Satish Shah Demise: সম্প্রতি, বন্ধুর মৃত্যু নিয়ে সচিন পিলগাঁওকর অনেক তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতার স্ত্রী মধু অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত

কলকাতা: কিডনির সমস্যার কারণেই মৃত্যু হয়েছে বলিউডের 'কমেডি কিং' সতীশ শাহ (Satish Shah)। শোনা যাচ্ছে, তিনি নাকি দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন এই সমস্যায়। তবে প্রয়াত অভিনেতা সম্পর্কে কথা বলতে গিয়ে এবার নতুন তথ্য সামনে আনলেন অভিনেতা সচিন পিলগাঁওকর (Sachin Pilgaonkar)। তিনি জানিয়েছেন, সতীশ শাহ চেয়েছিলেন আরও বেশিদিন বাঁচতে, সেই কারণে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো বিপজ্জনক প্রক্রিয়া করাতেও তৈরি হয়ে গিয়েছিলেন।
সম্প্রতি, বন্ধুর মৃত্যু নিয়ে সচিন পিলগাঁওকর অনেক তথ্য দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, অভিনেতার স্ত্রী মধু অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্ত। তাঁকে দেখাশোনা করতেন সতীশই। তাঁর ডায়ালিসিস চলছিল। সতীশ চেয়েছিলেন আরও কিছুদিন বাঁচতে, কারণ তিনি স্ত্রীকে দেখাশোনা করতে চেয়েছিলেন। আসলে অ্যালঝাইমার্স এমন একটা রোগ, যেখানে রোগী মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। অ্যালঝাইমার্সের রোগী চেনা পরিবেশ, চেনা মানুষদের সঙ্গে একটু ভাল থাকেন। সতীশের ভীষণ চিন্তা ছিল তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে। সেই কারণে তিনি কিডনি প্রতিস্থাপনের মতো বিপজ্জনক প্রক্রিয়ায় রাজি হয়ে গিয়েছিলেন।
সচিন আরও বলেন, মৃত্য়ুর আগে, তাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া পিলগাঁওকর সতীশের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন। আর সতীশ আর সচিনের নিয়মিতেই টেক্সটে কথা হত। এমনকি মৃত্যুর দিনও সতীশ মেসেজ করেছিলেন সচিনকে। সচিন সতীশের থেকে শেষ টেক্সট পেয়েছিলেন মৃত্যুর দিন, দুপুর ১২.৫৬-তে। অর্থাৎ তখনও সুস্থ ছিলেন সতীশ। কিন্তু এরপরে সতীশের মৃত্যুর খবর পেয়ে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন সচিন। বন্ধুকে নিয়ে কতই না স্মৃতি উজাড় করে দিলেন সচিন।
অন্যদিকে, পর্দার বাবাকে হারিয়ে শোকাচ্ছন্ন সুমীত রাঘবন। একটি ভিডিও করে তিনি বলেন, 'আজও দর্শক এই শোয়ের চরিত্রগুলির সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পান। হয়তো কেউ বলেন না, তাঁদের বাড়িতে এক জন ইন্দ্রবর্ধন সারাভাই আছেন। সুমীত আবেগপ্রবণ হয়ে বলেন, 'ইন্দ্রবর্ধন সারাভাই একজনই আর তিনি হলেন সতীশ কাকা। এবার তিনি আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। এই শোয়ের সম্প্রচারের দিন যত বাড়ছিল, ততই আমাদের সম্পর্কের বন্ধনটা মজবুত হচ্ছিল। আমরা যখনই দেখা করতাম ধারাবাহিকের স্টাইলে কথা বলতাম। আজ আমরা হারালাম পরিবারের কর্তা-জ্যেষ্ঠ সদস্যকে। বহুদিন ধরেই উনি শারীরিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলেন। সত্যিই জীবন মাঝে মাঝে খুব নিষ্ঠুর হয়ে যায়।'
'সারাভাই ভার্সেস সারাভাই'-এ একসঙ্গে কাজ করতে এই দুই অভিনেতা। পর্দায় তাঁদের বাবা ছেলের চরিত্রে দেখা যেত।























