Sharmila Tagore: দিল্লিতে একা থাকেন, যানজট এড়াতে অচেনা আরোহীর বাইকেও সফর করেছেন শর্মিলা ঠাকুর!
Sharmila Tagore News: সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে সোহা আলি খান জানিয়েছেন, তাঁর মা, অর্থাৎ শর্মিলা ঠাকুর মোটেই মুম্বইতে সবার সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন না। তিনি নাকি দিল্লিতে একাই থাকেন।

কলকাতা: দীর্ঘদিন পরে অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর (Sharmila Tagore) ফিরেছেন পর্দায়, তাও আবার বাংলা ছবির হাত ধরেই। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তের (Rituparna Sengupta)-র সঙ্গে 'পুরাতন' ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। দর্শকদের মধ্যে প্রশংসিত ও হয়েছে এই ছবি। তবে শর্মিলা ঠাকুরের কাছে, বয়স সংখ্যামাত্র। রাস্তাঘাটে হাঁটাচলা করার সময় ও নাকি শর্মিলা ঠাকুর যথেষ্ট সাবলীল। মুম্বই নয়, তিনি নাকি একাই থাকেন দিল্লিতে। আর সদ্যই শর্মিলা ঠাকুরের ঘটানো একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এনেছেন শর্মিলা কন্যা সোহা আলি খান (Soha Ali Khan)।
সম্প্রতি একটি পডকাস্টে এসে সোহা আলি খান জানিয়েছেন, তাঁর মা, অর্থাৎ শর্মিলা ঠাকুর মোটেই মুম্বইতে সবার সঙ্গে থাকতে পছন্দ করেন না। তিনি নাকি দিল্লিতে একাই থাকেন। সোহা আরও জানান যে তাঁর মা অভিনয়ে ফিরে আসার পরে, আর সিনেমাতে কাজ করবে কি না, তা নিয়ে কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন। তিনি সিনেমাতে কাজ চালিয়ে যাবেন কিনা, সে বিষয়ে তিনি নিশ্চিত নন। সোহা বলেন, তিনি একদিকে বলছেন যে তিনি আর কাজ করবেন না, আবার পরের মুহূর্তেই এমন একটি চিত্রনাট্য খুঁজে পান যা তাঁকে উৎসাহিত করে তোলে।
সোহা তাঁর মা শর্মিলা ঠাকুরের একটি মজাদার ঘটনার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে বলেন, 'মা একবার একটি বইয়ের প্রকাশ অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন, কিন্তু রাস্তায় খুব যানজট ছিল। তাই তিনি গাড়ি থেকে নেমে এক স্কুটার আরোহীকে বললেন, ‘আমাকে অনুষ্ঠানস্থলের কাছে নামিয়ে দাও’। তারপর সেই স্কুটারে করে তিনি কিছুটা রাস্তা যান। এরপরে তিনি আরও একটি বাইক আরোহীকে দাঁড় করান। তাঁকে অনুরোধ করে আবার কিছুটা রাস্তা যান। আমি ভাবছিলাম, ‘আমার মায়ের বয়স তো ৮০ বছর! আর আমার সেই মা, দিল্লির রাস্তায় একের পর এক বাইকে সফর করছেন!' সোহা আরও জানান যে, সেই ব্যক্তি মাকে মাঝপথেই নামিয়ে দেয়। এরপর তিনি বই প্রকাশের জন্য বাকি পথ হেঁটে যান। সোহা জানান, এই ঘটনাটি শর্মিলা নিজেই তাঁর সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছিলেন।
সদ্যই, 'কান ২০২৫'-এ দেখানো হয়েছে সত্যজিৎ রায়ের কিংবদন্তি সিনেমা 'অরণ্যের দিনরাত্রি'। ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ছবির নায়িকা শর্মিলা ঠাকুর। ১৯৮৮ সালে বই আকারে প্রকাশিত হয় সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sunil Ganguly) ‘অরণ্যের দিনরাত্রি’। ঠিক তার ২ বছর পর এই গল্পটি ছবির আকারে সিনেমার পর্দায় নিয়ে আসেন সত্যজিৎ রায়। ৫ দশক পেরিয়ে গিয়েছে, পরিচালক থেকে সিনেমার অধিকাংশ কলাকুশলীই প্রয়াত হয়েছেন। এই ছবি বাঙালি যতবার দেখেন, তাঁদের যেন মনে পড়ে যায় সেই সমস্ত অভিনেতা অভিনেত্রীদের কথাই।






















