আইসিএসই সিলেবাসে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে তৃতীয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত হ্যারি পটার, টিনটিন, অ্যাসটেরিক্স পড়ানো হবে। এ নিয়ে মতামত চাইলে শিল্পা বলেন, লর্ড অফ দ্য রিংস আর হ্যারি পটার দুটোই ছোটদের পক্ষে ভাল। এ সব বই পড়লে বাচ্চাদের কল্পনাশক্তি আর সৃজনশীলতা বাড়বে। লিটল উওমেন-এর মত বই মহিলাদের সম্মান করতে শেখায়। অ্যানিম্যাল ফার্ম সিলেবাসে রাখলে ছোটরা জীবজন্তুদের ভালবাসতে শিখতে পারবে।
আর যায় কোথায়! টুইটারে সঙ্গে সঙ্গে টপ ট্রেন্ড হয়ে ওঠে #শিল্পাশেট্টিরিভিউজ। শিল্পা আর কী কী বই সম্পর্কে কী মন্তব্য করতে পারেন, তাই ভেবে শুরু হয়ে যায় হাসিঠাট্টা।
স্তালিন জমানায় সোভিয়েত ইউনিয়নে সামাজিক ও রাজনৈতিক মাৎসান্যায় নিয়ে ১৯৪৫-এ জর্জ অরওয়েল লেখেন ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’। ক্ষমতাধারীরা কীভাবে নিম্নস্তরীয়দের ওপর যুগে যুগে নির্যাতন চালায়, তাই তুলে ধরেন তিনি। কিন্তু বইয়ের নাম দেখে শিল্পা ভেবেছেন, তা ওল্ড ম্যাকডোনাল্ড হ্যাড আ ফার্মের ছড়ার মত গরু, ঘোড়া, কুকুর, বেড়ালের কথা বলছে। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে সেলিব্রিটি হয়ে বেফাঁস মন্তব্য করলে খেসারত তো দিতেই হয়।
তবে প্রথমে চুপ করে থাকলেও পরে অবশ্য কোমর বেঁধে আত্মপক্ষসমর্থনে নামেন শিল্পা। প্রথমেই স্বীকার করে নেন, ‘লর্ড অফ দ্য রিংস’, হ্যারি পটার বা ‘অ্যানিম্যাল ফার্ম’- কোনওটাই তিনি পড়েননি। তারপর দাবি করেন, এ সব বই ছোটদের পড়ার কথাও বলেননি তিনি। নিশ্চয়ই ‘ভুল বোঝাবুঝি’ হয়েছে!