কলকাতা: তাঁর সফরটা নেহাত সহজ ছিল না। বর্তমানে তিনি পুরোদমে রাজনীতির গুরুদায়িত্ব সামলালেও তাঁকে পরিচিতি দিয়েছিল অভিনয়। তিনি স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। ২০০০ সালে টেলিভিশনেই নিজের কেরিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। ধারাবাহিক 'কিঁউকি সাঁস ভি কভি বহু থি' (Kyunki Saas Bhi Kabhi Bahu Thi) জনপ্রিয়তা এনে দিয়েছিল তাঁকে। 


কিন্তু খ্যাতি বা যশ সবসময় পয়সা এনে দিতে পারে না। স্মৃতির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল কিছুটা। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে স্মৃতি জানিয়েছেন, যখন তিনি 'কিঁউকি সাঁস ভি কভি বহু থি'-র কেন্দ্রীয় চরিত্র তুলসী ভাবীর ভূমিকায় অভিনয় করতেন, তখন তাঁর প্রতিদিনের উপার্জন ছিল ১৮০০ টাকা মাত্র। অটো করে শ্যুটিং ও বাড়ি যাতায়াত করতেন তিনি। 


স্মৃতি রোমন্থন করে তুলসী বলেন, একবার তাঁর ধারাবাহিকের রূপটান শিল্পী তাঁকে অটো থেকে নামতে থেকে অস্বস্তিতে পড়ে যান নিজেই। তারপরে স্মৃতির কাছে গিয়ে তিনি বলেন, 'ম্যাডাম, এবার একটা গাড়ি কিনে নিন। আমারই অস্বস্তি হচ্ছে যে আমি শ্যুটিংয়ে আসছি গাড়ি করে আর তুলসী ভাবী অটো করে।'


স্মৃতি আরও বলেন, সেইসময়ে সেটে চা খাওয়ার অনুমতি পর্যন্ত ছিল না। কারণ পরিচালক ভয় পেতেন সেটের আসবাব নষ্ট হয়ে যাবে। একবার স্মৃতিকে শুনতে হয়েছিল, তারকা নয়, তাঁকে দেখতে একজন টেকনিশিয়ানের মতো। এমনকি তাঁর জীবনধারাও সেইরকমই। স্মৃতি জানান, যখন তিনি বিয়ে করেন, তখন তিনি ও তাঁর স্বামী জুবিন ২ জন মিলে মেরেকেটে ৩০ হাজার টাকা রোজগার করতেন।


স্মৃতি ওই সাক্ষাৎকারে আরও বলেন, 'সেটে টেকনিশিয়ানদের কারও চা খাওয়ার অনুমতি ছিল না। আমিও রোজ ওদের রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতাম। এক একজন জন ১১-১২ ঘণ্টা পরে একটু বিরতি পেতেন। তখনও চা খেতে পারতেন না। আর তাই আমি সবার জন্য চা আনিয়ে বাইরে চলে যেতাম। টেকনিশিয়ানদের সঙ্গে বসে চা খেতাম যাতে ওরাও একটু চা খেতে পারে।'


এই একই সাক্ষাৎকারে স্মৃতি ভাগ করে নেন তাঁর গর্ভপাতের ভয়াবহ স্মৃতি। এই ধারাবাহিকের কাজ চলাকালীনই গর্ভপাত হয়েছিল তাঁর। কিন্তু তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়নি। ওই অবস্থাতেই কাজ করে যেতে হয়েছিল। কাজ শেষ করে যখন হাসপাতালে পৌঁছন স্মৃতি, তখন তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। হাসপাতালে চিকিৎসা করিয়ে পরেরদিনই আবার শ্যুটিংয়ে ফিরেছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন: Smriti Irani: মিসক্যারেজ হওয়ার পরদিনই জোর করে পৌঁছতে হয়েছিল 'কিঁউ কি...'র সেটে, স্মৃতি হাতড়ালেন পর্দার তুলসী