কলকাতা: আজ মহালয়া। দেবীপক্ষ শুরু এই বিশেষ দিনে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায়  একটি ভিডিও পোষ্ট করলেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। অভিনেতা সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্য়ায়ের লেখার মধ্যে দিয়ে মহালয়ায় মানবতার বার্তা মানুষের কাছে পৌঁছে দিলেন অভিনেত্রী।



ঠিক কী বিষয় উঠে এসেছে এই ভিডিওতে?


দুর্গা কে দেবী হিসেবে পূজা করা হয় যে দেশে, সেই দেশেই আবার নারী অবহেলিত। প্রতিদিন নতুন নতুন ক্ষেত্রে জীবনের জয়গান গেয়ে চলা এই নারীদের উপর আমাদের দেশে  অত্যাচারের শেষ নেই। ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির বিভিন্ন বিষয় গুলোর সংখ্যা ক্রমবর্ধমান। সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্য়ায়ের লেখার মধ্যে দিয়ে সোহিনী তার মহালয়ার  এই বিশেষ ভিডিওতে মানুষকে আহ্বান জানিয়েছেন এমন এক পৃথিবী গড়ে তুলতে যেখানে দেবীত্ব না, প্রাধান্য পাবে মানবিকতা।


ভিডিও প্রসঙ্গে সোহিনী জানিয়েছেন যে,মহালয়া প্রত্যেকের জীবনেই একটা  উৎসবের বার্তা নিয়ে আসে। পিতৃ পক্ষের অবসান ও মাতৃ পক্ষের সূচনা লগ্নে এই শুভ দিনে প্রত্যেক বছরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি, ভিডিও পোস্ট করি। এবারে ভাবনা ছিল নতুন কিছু করার। অধিকাংশ সময় কবিতা পাঠ করি, কিন্তু এবারে পরিকল্পনা ছিল একটু অন্যরকম কিছু করার। সেই ভাবনা থেকেই এই ভিডিওর উৎপত্তি।


এই ভিডিওটির পরিচালনা করেছেন রণজয় বিষ্ণু। ঠিক কী লেখা হবে তা নিয়ে প্রথমে কিছুটা ধন্ধে ছিলেন অভিনেত্রী, সেই থেকেই সুজয় প্রসাদের শরনাপন্ন হওয়া। কিন্তু তারপরই সুজয় প্রসাদের পাঠানো লেখা পড়ে অভিভূত হয়ে যান 'বিবাহ ডায়রিজ' তারকা। কলকাতার বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ভিডিওটি শ্যুট করা হয়েছে। ভিডিওটি পোস্ট করে অভিনেত্রী সোহিনী একান্ত ধন্যবাদ জানিয়েছেন সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্য়ায়কে ব্য়স্ত সময়ের মধ্য়েও এত সুন্দর একটা লেখা উপহার দেওয়ার জন্য়।


পাশাপাশি সুজয় প্রসাদ চট্টোপাধ্য়ায়ও জানিয়েছেন যে,  ধারাবাহিকের শ্যুটিং নিয়ে প্রচণ্ড ব্য়স্ত থাকা সত্ত্বেও সোহিনীর এই ভাবনা তাঁর ভালো লাগে। তিনি জানান, মহালয়া ধর্ম অনুযায়ী দেবী পক্ষের সূচনা বটেই, কিন্তু বৃহত্তর ক্ষেত্রে যদি দেখা যায় তবে আমরা দেখবো হয়ে দেবী দুর্গার আরাধনা আসলে মানবতার পূজার্চনা।। আমার মনে হয়েছিল যে এবারের আগমনী যেন দেবীপক্ষের সাথে সাথে মানব মানবী পক্ষের শুভ সূচনা বয়ে আনে। লিঙ্গ নির্বিশেষে যেন মানবতার অর্চনা করতে পারি আমরা। সেই ভাবনা থেকেই এই লেখা।