কলকাতা: ফেলুদা বানানোর সময় নাকি কোনও প্রতিযোগিতা কাজ করে না, কেবল ব্যক্তিগত ভালোলাগা থেকেই ওয়েবে ফেলুদাকে নিয়ে আসেন সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)। তাতে যদি দর্শকের ভালো লেগে থাকে, সেটাকে উপরি পাওনা বলে মনে করেন পরিচালক। জুন মাসে 'হইচই'-এর প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাচ্ছে 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি'। তার আগে এবিপি লাইভকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে 'ফেলুদার গোয়েন্দাগিরি' নিয়ে অকপট সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)।
টলিউড থেকে শুরু করে বলিউড, সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherjee) ব্যস্ত পরিচালক। তবে ফেলুদার ছবির শ্যুটিং করার সময় নাকি সবচেয়ে খুশি থাকেন তিনি। এবিপি লাইভকে পরিচালক বলছেন, 'ফেলুদার শ্যুটিং করার সময় কোনও নেতিবাচক মানসিকতা আমায় স্পর্শ করে না। সে শ্যুটিং হোক বা সোশ্যাল মিডিয়া। কারণ ফেলুদার শ্যুটিং করার সময় আমার পাশে সেই ১০ বছরের ছেলেটা বসে থাকে যে ভবানীপুরের বইয়ের দোকান থেকে পাতলা পাতলা বইগুলো কিনে আনত। নতুন বইয়ের গন্ধের সঙ্গে মিশে থাকত ফেলুদার অ্যাডভেঞ্চারের গন্ধ, তার বাবার স্মৃতি। সেইসব স্মৃতি যেন তাকে বর্মের মতো আগলে রাখে সমস্ত খারাপ কিছুর থেকে। সব মিলিয়ে ফেলুদার শ্যুটিং এক্কেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা, অতুলনীয়। তখন মনে হয় পৃথিবীতে আর কিছু নেই, কেবল ফেলুদাই সত্য।'
আরও পড়ুন: বিনোদনের জগতের হালহকিকত জেনে নিন এক ক্লিকে
বাঙালির আবেগের সঙ্গে মিশে রয়েছে 'ফেলুদা'। তাকে পর্দায় তুলে ধরা কতটা গুরুদায়িত্ব? প্রায় প্রশ্নের মাঝখান থেকে সৃজিত বলে উঠলেন, 'দায়িত্বের কথা আমি মাথাতেই রাখি না। সত্যি বলতে ফেলুদা আমি নিজের জন্য বানাই। সেটা যদি মানুষের ভালো লাগে সেটা উপরি পাওনা। কারণ ফেলুদা আমার ছোট থেকে বড় হওয়া, ফিল্মমেকার হয়ে ওঠার হাত ধরছে। ফেলুদা আমার ব্যক্তিগত উদযাপন। আমার মাথায় প্রতিযোগিতা, আরও ভালো করব এসব কাজই করে না।'
টোটা রায়চৌধুরী বলেছিলেন, তিনি চোখ বন্ধ করে সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে অনুসরণ করেন। হাসতে হাসতে সৃজিত বললেন, 'এটা পরিচালক হিসেবে আমার পরম পাওয়া। টোটা যেমন আমায় অনুসরণ করে, আমিও চোখ বন্ধ করে সত্যজিৎ রায়কে অনুসরণ করি। ফেলুদা তৈরির সময় 'ফেলুদা সমগ্র' আমার বাইবেল। ওনার বর্ণনা, স্কেচ সবকিছুকে চোখ বন্ধ করে অনুসরণ করে ফেলুদা তৈরি করি।'