কলকাতাঃ 'রায়, ঘটক,সেন, সিনহা- নক্ষত্রমণ্ডলীর শেষ নক্ষত্রপতন', টুইট সৃজিতের ( Srijit Mukherji)। তরুণ মজুমদারের (Tarun Majumdar) প্রয়াণে এভাবেই প্রিয় পরিচালককে সম্মান জানালেন বাইশে শ্রাবণের স্রষ্ঠা সৃজিত মুখোপাধ্যায়। এদিন সকালেই পরিচালকের মৃত্যুর খবর শুনে 'লেজেন্ড'-কে সেলাম জানিয়েছেন সৃজিত।


আরও পড়ুন, শহর ছেড়ে উত্তম-সমিতদের দেশে পাড়ি তরুণ মজুমদারের, ফিরে দেখুন প্রিয় পরিচালকের ফ্রেমটা


এদিন পরিচালক তরুণ মজুমদারের প্রয়াণে টুইট করে সৃজিত মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, সত্যজিৎ রায়, ঋত্বিক ঘটক, মৃণাল সেন এবং তপন সিনহা- নক্ষত্রমণ্ডলীর শেষ নক্ষত্রপতন। যিনি কিনা যেমন বক্সঅফিস জয়ের পাশাপাশি চলচ্চিত্র উৎসব এবং পুরষ্কারের বিরল অ্যালকেম্যিক্যাল কোড ক্র্যাক করেছিলেন, আজ আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। এখানেই শেষ নয় নিমন্ত্রন , শ্রীমান পৃথ্বিরাজ ছবির সৃষ্ঠাকে লেজেন্ড বলে সম্মান জানিয়েছেন তিনি।






১৯৩১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশের বগুড়া জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তরুণ মজুমদার। রসায়ন নিয়ে পড়াশোনা শেষ করে পরবর্তীকালে চলচ্চিত্র পরিচালনাই পেশা হিসেবে বেছে নেন স্কটিশচার্চ কলেজের এই প্রাক্তনী। শচীন মুখোপাধ্যায় ও দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যৌথভাবে যাত্রিক গোষ্ঠীতে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম ছবি উত্তম-সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া-পাওয়া’। এরপর একের পর এক হিট ছবি তরুণ মজুমদারের ঝুলিতে। ‘বালিকা বধূ’, ‘শ্রীমান পৃথ্বীরাজ’, ‘দাদার কীর্তি’, ‘ভালবাসা ভালবাসা’ তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য। শুধু ছবিই নয়, উপহার দিয়েছেন একের পর এক জুটি।


প্রসঙ্গত, বাইশের প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে বক্সঅফিস এবং প্রতিবার শেষ ছবি থেকে অন্য কোনও গল্পে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নামই সৃজিত মুখোপাধ্যায়। তবে তরুণ মজুমদারের মৃত্যুর দিনে সৃজিতের কথা উঠছে কেন ? উঠছে কারণ তিনি ততটাই প্রাসঙ্গিক। রায়, ঘটক,সেন, মজুমদারদের ছবি তার জীবনকালেও যে প্রভাব ফেলেছে, তা স্পষ্ট বোঝা যায়। বাংলা ছবি 'চতুষ্কোণ'-এ বোবা টানেল গানের পিকচারাইজেশনের সময় কণীনিকা যখন ক্লোজড, তখন চিরঞ্জিতের মন পড়ে আছে ব্ল্যাক অ্যান্ড হোয়াইট টিভিটে চলা অপর্ণা সেনের ফ্রেমে। এমন ফিউশন তো সৃজিতই করতে পারেন। কেই বা বলতে পারে, তাই  অদূর ভবিষ্যতে সৃজিতে ফ্রেমে কোনও না কোনও ক্ষণে ফিরে আসবেন না 'রায়, ঘটক,সেন, সিনহা- নক্ষত্রমণ্ডলীর শেষ নক্ষত্র' পরিচালক তরুণ মজুমদার