কলকাতা: 'দ্য কেরালা স্টোরি'কে বাংলায় নিষিদ্ধ করেছে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। আর এরপরই বাংলার সরকারের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন এই ছবির প্রযোজক বিপুল শাহ। মূলত সোমাবার অর্থাৎ গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,'বিকৃত তথ্য দিয়ে সিনেমা তৈরি হচ্ছে।' এরপরেই দ্য কেরালা স্টোরিকে নিষিদ্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। 


মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন,' কেরলে সিপিএম সরকার চুপ কেন? বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ আছে। বিরোধী দলকে বুলডোজ করার অধিকার কে দিয়েছে? শাসক দলের শান্তি বজায় রাখাই কর্তব্য। কিন্তু মণিপুরের শাসক দলই অশান্তি তৈরি করেছে। বাংলায় কখনও এই ধরনের ঘটনা ঘটবে না।'  


আরও পড়ুন...


Skin Care With Coffee: স্ক্রাব হোক বা মাস্ক, ত্বকের যত্নে ঠিক কীভাবে ব্যবহার করবেন কফি?


প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বিক্ষোভের ভয়ে তামিলনাড়ুতে বেশ কয়েকটি প্রেক্ষাগৃহ দৃশ্যত ছবিটি প্রদর্শন করতে অস্বীকার করার পরে ছবিটির পরিচালক সুদীপ্ত সেন এবং শাহ সংবাদ সম্মেলন ডেকেছিলেন। নিষেধাজ্ঞার কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে এমন প্রশ্নে শাহ বলেন, "আমরা এখন লাভ বা ক্ষতির বিষয়ে কথা বলব না, আমরা কেবল এটি নিশ্চিত করার চেষ্টা করব যাতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ছবিটি দেখেন। যদি কোনও রাজ্য সরকার বা বেসরকারি ব্যক্তি ছবিটি বন্ধ করার চেষ্টা করে, তার বিরুদ্ধে আমরা সম্ভাব্য সব আইনি ব্য়বস্থা নেব।" প্রযোজক শাহ "দ্য কেরালা স্টোরি" কে "গুরুতর সামাজিক বিষয়" এর উপর একটি চলচ্চিত্র বলে অভিহিত করেছেন এবং তামিলনাড়ু সরকারকে মুভিটির "মসৃণ ও ন্যায্য" মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছেন।


অন্য়দিকে, এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী খোদ পিনারাই বিজয়ন (Kerala Chief Minister Pinarayi Vijayan)। তবে শুধু এই ছবি নয়, অতীতে 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' নিয়ে বিতর্কের ঝড় তৈরি হয়েছিল। এই ছবিতে নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা ছেড়ে চলে আসার পটভূমিকায় তৈরি এই ছবি এর মধ্য়েই দেশ ও আন্তর্জাতিক মহলে তুমুল আলোড়ন তৈরি করে।


তবে অনেক আগেই, দ্য কেরালা স্টোরি  ( The Kerala Story ) নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন সম্প্রতি দাবি রেখেছিলেন, 'ছবি মাধ্যমে সংঘ পরিবার, রাজনৈতিক লক্ষ্য প্রচারে কেরলের ধর্ম নিরপেক্ষ পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।'মূলত 'দ্য কেরালা স্টোরি' ছবির বিষয় নিয়ে বিতর্ক অব্যহত। অভিযোগ, ছবিটির ট্রেলরে দেখানো হয়েছে, কেরল থেকে ৩২ হাজার মহিলাকে ধর্ম পরিবর্তন করিয়ে নিয়ে সিরিয়া এবং আফগানিস্তানে আইএসআই-র প্রশিক্ষণ শিবিরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।