সন্দীপ সরকার, কলকাতা: সামনেই লোকসভা নির্বাচন। প্রতিনিয়ত নিত্য নতুন ঘটনায় সরগরম দেশ থেকে রাজ্য, সর্বস্তরের রাজনীতি। শাসক ও বিরোধীদের তপ্ত মন্তব্যে ভোটবাজারে কারও নিঃশ্বাস ফেলার সময় নেই। এই আবহে ভোটপর্ব রয়েছে টলিপাড়াতেও। শুক্রবার, অর্থাৎ আজই ভোট রয়েছে ইম্পার ('Eastern India Motion Pictures Association')। তার আগে ইম্পার ভোটার তালিকায় কারচুপির অভিযোগ উঠল। যার প্রতিবাদে ভোট বয়কট করল বিরোধী শিবির। যদিও ইম্পার বর্তমান সভাপতির দাবি, 'ভোটার তালিকা তৈরি করেছে আদালত নিযুক্ত প্রশাসক'। ঠিক কী ঘটেছে?


ইম্পার ভোটেও কারচুপি? প্রতিবাদে ভোট বয়কট?


দেশ বা রাজ্যের রাজনীতি নয়, এবার টলিপাড়ার ভোটেও বেনিয়মের অভিযোগ উঠল। ভুয়ো ভোটার তালিকার ভিত্তিতে হতে চলেছে নির্বাচন, এই অভিযোগ এনে ভোট বয়কটের ডাক দিল বিরোধী শিবির। আজ ইস্টার্ন ইন্ডিয়া মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশন অর্থাৎ ইম্পার ভোট রয়েছে। বর্তমানে ইম্পার সভাপতি অভিনেত্রী পিয়া সেনগুপ্ত (Piya Sengupta)। টলিপাড়ায় তিনি তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। এবারও ভোটে দাঁড়িয়েছেন পিয়া। 


অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের প্রধান মুখ, বেহালার অজন্তা সিনেমা হলের মালিক রতন সাহা। যিনি আবার বিজেপি শাসিত ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার ভাই। বিরোধীদের অভিযোগ, গতবার স্বচ্ছভাবে ভোটে জিতে সভাপতি হননি অভিনেত্রী পিয়া সেনগুপ্ত। এবারও ভোটার তালিকায় কারচুপি করা হয়েছে। প্রযোজক, হল মালিক ও পরিবেশক মিলিয়ে মোট বর্তমানে ভোটার সংখ্যা হওয়া উচিত ৩৩৬ জন। যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে রয়েছে ৭৩০ জনের নাম। যাদের মধ্যে অনেকেই মারা গিয়েছেন, এমনও গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে।


ইম্পার বিরোধী শিবিরের প্রার্থী রতন সাহার অভিযোগ, 'তালিকায় অনেকে মারা গিয়েছেন, অনেকে ভুয়ো ভোটার আছেন। এগুলো বাদ দিয়েই তো, স্ক্রুটিনি করেই ৩৩৬ জনের নাম বের করা হয়েছে। বাড়তি ভোটার হলে শাসক দলের সুবিধা।' 


শাসক শিবিরের প্রার্থী, ইম্পার শাসক শিবিরের প্রার্থী পিয়া সেনগুপ্তের দাবি, 'ভোটার তালিকা করেছেন আদালত নিযুক্ত প্রশাসক। সুতরাং ভোটার লিস্ট কী হয়েছে না হয়েছে সেটা আমাদের জানারই কথা না। কার কী মনে হচ্ছে তারা অ্যাডমিনিস্ট্রেটরদের সঙ্গে কথা বলুক। কারণ এবারের ভোটের পুরো প্রসেসটাই হচ্ছে আদালত নিযুক্ত প্রশাসকদের মাধ্যমে।'


আরও পড়ুন: 'Pherari Mon': ৫০০ পর্ব পার করল 'ফেরারি মন'! এবার কোন দিকে মোড় নেবে ধারাবাহিকের গল্প?


২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে শেষবার হয়েছিল ইম্পার নির্বাচন। সেবারও ভুয়ো ভোটার, ছাপ্পা ভোট, রিগিংয়ের অভিযোগ ওঠে। ভোটের ফল বেরোনোর পরেই প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টে সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলা করেন বিরোধীরা। পরে মামলা গড়ায়  ডিভিশন বেঞ্চে। দু'বছর অন্তর ভোট হওয়ার কথা থাকলেও, মামলার কারণেই, গত বছর নির্বাচন হয়নি ইম্পায়। আদালত নিযুক্ত প্রশাসকের নজরদারিতে এবার ভোট হচ্ছে। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।