নয়াদিল্লি: প্রয়াত ভারতীয় নৃত্যশিল্পী মুঙ্গারা যামিনী কৃষ্ণমূর্তি (Mungara Yamini Krishnamurthi)। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, পদ্ম পুরস্কার প্রাপ্ত শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী (Classical Dancer) ভুগছিলেন একাধিক বার্ধক্যজনিত সমস্যায়। ভর্তি ছিলেন দিল্লির অ্যাপোলো হাসপাতালে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। অবশেষে থামল ঘুঙুরের ঝঙ্কার। (Yamini Krishnamurthi Demise)
শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন নৃত্যশিল্পী যামিনী কৃষ্ণমূর্তি, বয়স হয়েছিল ৮৪
থামল ঘুঙুরের ঝঙ্কার। প্রয়াত ভরতনাট্যম শিল্পী যামিনী কৃষ্ণমূর্তি। বয়স হয়েছিল ৮৪। একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। এএনআই সূত্রে খবর, মাল্টি-ডিসিপ্লিনারি টিম দ্বারা চিকিৎসা হওয়া সত্ত্বেও, শনিবার দুপুরে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
১৯৪০ সালের ২০ ডিসেম্বর জন্মগ্রহণ করেন যামিনী কৃষ্ণমূর্তি যিনি একজন প্রখ্যাত ভরতনাট্যম ও কুচিপুড়ি নৃত্যশিল্পী। অন্ধ্রপ্রদেশের চিতোর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ১৯৫৭ সালে রুক্মিণী দেবী অরুন্দালের 'কলাক্ষেত্র' বিদ্যালয়ে শিক্ষাগ্রহণের পর নাচের জগতে আত্মপ্রকাশ করেন যামিনী দেবী। এছাড়া কুচিপুড়ি নাচের ঘরানায়ও তালিম নিয়েছেন তিনি, একাধিক প্রখ্যাত গুরুর অধীনে। প্রকৃতপক্ষে, শাস্ত্রীয় শিল্পকলা এবং বিশেষ করে কুচিপুড়ির প্রতি, যা সেই সময়ে অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে একটি জনপ্রিয় নৃত্যশৈলী হিসাবে আবির্ভূত হতে শুরু করেছিল আগ্রহের নবায়নে তাঁর অবদান অপরিসীম। এছাড়াও তিনি তালিম নিয়েছিলেন ওডিশি নাচের ঘরানাতেও। তিনি সঙ্গীতচর্চা ও বীণা বাজানো শেখেন। একাধিক শিল্পের প্রতি আগ্রহ থাকলেও তিনি বিশেষ নজর দিয়েছিলেন ভরতনাট্যম ও কুচিপুড়িতেই।
আরও পড়ুন: New Serial Update: পারিবারিক বন্ধন-সম্পর্ক-দায়িত্বের টানাপোড়েনে নতুন গল্প, আসছে 'বসু পরিবার'
দেশে ও বিদেশে বিপুল খ্যাতি অর্জনের পর, এবং শাস্ত্রীয় শিল্পকে নতুন স্থানে পৌঁছে দেওয়ার পর নিজে একটি নাচের স্কুল খোলেন তিনি। দিল্লিতে ১৯৯০ সাল থেকে 'যামিনী স্কুল অফ ডান্স'-এর পথচলা শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে 'পদ্মশ্রী', ১৯৭৭ সালে 'সঙ্গীত নাটক আকাদেমী অ্যাওয়ার্ড', ২০০১ সালে 'পদ্ম ভূষণ' পুরস্কারে সম্মানিত হন তিনি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।