নয়াদিল্লি: আজ দেশের সব থেকে আলোড়ন তোলা মামলা অযোধ্যা বিতর্কের রায় দেবে শীর্ষ আদালত। যে কোনও ধরনের অশান্তি এড়াতে নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা উত্তর প্রদেশ। ১১ তারিখ পর্যন্ত সব স্কুল-কলেজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। জারি হয়েছে ১৪৪ ধারা। একইভাবে জম্মু কাশ্মীর, মধ্যপ্রদেশেও স্কুল কলেজ বন্ধ, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে উত্তর প্রদেশের আলিগড় ও রাজস্থানের ভরতপুরে।


প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর কাছে শান্তি বহাল রাখার আবেদন করেছেন। আজকের সমস্ত কাজকর্ম বন্ধ রেখেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই পথে হেঁটেছেন উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। সকলে আবেদন করেছেন, আদালতের রায় যে পক্ষেই যাক, শান্তি ও সৌহার্দ্য বজায় রাখুন। এখন দেখে নেওয়া যাক, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে অসন্তুষ্ট পক্ষের কাছে কী কী পথ খোলা আছে। প্রথমত, তারা সুপ্রিম কোর্টে রিভিউ পিটিশন করতে পারবে। পিটিশনের শুনানি সেই বেঞ্চেই হবে যেখানে মামলার শুনানি চলছিল অর্থাৎ ৫ বিচারপতির বেঞ্চে। প্রথমে শুনানি হবে বেঞ্চের চেম্বারে, তারপর ঠিক হবে ওই রিভিউ পিটিশন শুনানির যোগ্য কিনা। যোগ্য মনে হলে শুনানি চলবে আদালতে, সকলের সামনে। নতুন কোনও নথি এর মধ্যে সামনে এলে তাও শোনা হবে শুনানিতে।

আর রিভিউ পিটিশনের রায় যদি অসন্তুষ্ট পক্ষের দিকে যায় তাহলে কী হবে? এই পরিস্থিতিতে কোনও বরিষ্ঠ আধিকারিক প্রধান বিচারপতির সামনে ক্যুরেটিভ পিটিশন দায়ের করবেন। তাতে বলা হবে, আগের রায়ে কিছু ত্রুটি ছিল, আদালত  তা সংশোধনের চেষ্টা করুক। প্রধান বিচারপতি তখন তৈরি করবেন নতুন বেঞ্চ, যাতে অন্তত ৫ জন বিচারপতি থাকবেন। সেই বেঞ্চে এই ক্যুরেটিভ পিটিশনের ওপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তখন আবার শুনানিতে বাদী বিবাদী দু’পক্ষকেই যে ডাকতে হবে তার কোনও নিশ্চয়তা নেই।

আর ক্যুরেটিভ পিটিশনেও যদি অসন্তুষ্ট পক্ষ হেরে যায়, তবে কী হবে। এ ক্ষেত্রে তারা করতে পারে জরুরি ভিত্তিতে পিটিশন, সেটাই তাদের অন্তিম হাতিয়ার। তাতেও যদি তারা হেরে যায়, তবে তাদের কাছে আর কোনও উপায় থাকবে না।