পড়াতে গিয়ে মা বা গৃহশিক্ষিকার বকুনি, শিশুর কান্না দেখে রাগে ফেটে পড়ল সমাজ, কিন্তু আসল আসামি কে?
তবে সবচেয়ে আগে কাঠগড়ায় শিশুটির মা বা গৃহশিক্ষিকা নয়, কাঠগড়ায় তোলা উচিত্ ভারতের পড়াশোনা ব্যবস্থাকে। স্কুলগুলি বাবা-মাকে চাপ দেয়, তাঁরা সেই চাপের মুখে মাথা নত করে, নিজের সন্তানকে একেবারে নিঁখুত করার দৌড়ে ছোটে। আগে সেই পদ্ধতি পরিবর্তন কাম্য।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appছোট্ট আঙুলে পেনসিল। খাটে জলচৌকি। জলচৌকির ওপরে খোপ খোপ অঙ্ক খাতা। তাতে সার দিয়ে লেখা ১, ২, ৩, ৪, ৫...। এক মহিলাকে তেতো গলায় বলতে শোনা যাচ্ছে— ওয়ান কোথায়? টু কোথায়? সে আঙুল বুলিয়ে দেখিয়ে চলেছে। থামলেই বকুনি, মোবাইলে তোলা ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে বাস্তবের এক ছবি। কিন্তু এই পরিস্থিতির জন্যে আসলে কে দায়ি, আসল আসামি কে? কাঠগড়ায় মহিলাকে তোলা হলেও, তিনিও তো সিস্টেমের দাস। স্কুলগুলির প্রভূত চাপ, আর সেই চাপের সামনে মাথা নোয়াতে কার্যত বাধ্য হন বাবা-মায়েরা। রেহাই নেই ছোট্ট চার বছরের শিশুরও। আগে সেখানে বদল কাম্য নয় কি?
বয়স শিশুটির বড়জোর বছর চার হবে। কচি হাতদু’টো জোড় করে সে মা বা গৃহশিক্ষিকার কাছে মিনতি করছে, ‘‘আপ পেয়ারসে পড়াইয়ে।’’ বোকো না আমায়, একটু ভালবেসে পড়াও! কান্নায় গলা বুজে আসছে তার।
ইনস্টাগ্রামে শনিবার ভিডিওটা শেয়ার করেন বিরাট কোহালি। ভারতের ক্রিকেট অধিনায়ক বিরাট ওই ভিডিওর নীচে লিখেছেন, মায়া-দয়া বলে কিছু নেই। বাচ্চাটার রাগ-যন্ত্রণা, কোনও কিছুকে পাত্তা না দিয়ে এক জন নিজের ইগোর বশে তাকে শিখতে বাধ্য করছে। জোর করলে বাচ্চা কিছুই শেখে না।
শিখর ধবন ভাইরাল এই ভিডিও সম্পর্কে লিখেছেন, এত অসহ্য ভিডিও আগে দেখিনি। বাবা-মা হওয়াটা বিরাট দায়িত্ব। বাচ্চারা যা হতে চায়, সে ভাবেই তাদের গড়ে তুলতে হবে আমাদের
ভিডিওটি দেখে যুবরাজের প্রতিক্রিয়া 'একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়'।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -