কলকাতা: জয়েন্ট এন্ট্রাস (জেইই) মেন পরীক্ষায় গুজরাতি ভাষার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে কেন্দ্রের সমালোচনা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলা সমেত অন্য আঞ্চলিক ভাষাগুলিকেও মাধ্যম হিসাবে কেন রাখা হবে না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৪-য় পরীক্ষায় অপশনাল মিডিয়াম হিসাবে সিবিএসই উর্দু, মারাঠি, গুজরাতিকে যোগ করে। ২০১৬-য় উর্দু, মারাঠিকে বাদ দেওয়া হলেও হিন্দি, ইংরেজির পাশাপাশি বহাল থাকে গুজরাতি।


২০১৯-এ সিবিএসই-র হাত থেকে ওই পরীক্ষা পরিচালনার ভার নেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (এনটিএ)।



মুখ্যমন্ত্রী ট্যুইটে অসন্তোষ জানিয়ে লিখেছেন, জয়েন্ট এন্ট্রাস পরীক্ষা এতদিন হয়ে এসেছে ইংরেজি, হিন্দিতে। বিস্ময়ের ব্যাপার হল, এবার শুধু গুজরাতিকেই যোগ করা হয়েছে। এটা মোটেই প্রশংসনীয় পদক্ষেপ নয়। গুজরাতিকে রাখতে হলে বাংলা সহ সব আঞ্চলিক ভাষাও অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। আমাদের দেশ ভারতবর্ষে বহু ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি, সম্প্রদায়, গোষ্ঠী আছে। কিন্তু কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন সরকারের অভিপ্রায় হল সব অঞ্চল ও আঞ্চলিক ভাষাকে ছোট করা। গুজরাতি ভাষা আমিও ভালবাসি। কিন্তু, তা বলে কেন অন্য আঞ্চলিক ভাষাগুলিকে উপেক্ষা করা হবে? কেন ওদের প্রতি অন্যায় হবে?


বিষয়টি ‘সম্মান, মর্যাদা’র সঙ্গে মিটিয়ে ফেলা না হলে সর্বত্র ক্ষোভ, কঠোর প্রতিবাদ মাথাচাড়া দেবে, কেননা ‘এই অন্যায়ে’র জন্য অন্য সব আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলা মানুষজনের সেন্টিমেন্ট, আবেগে আঘাত লাগবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, ২০২০-র জেইই পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অনলাইনে আবেদনপত্র পূরণের সময়ই পরীক্ষার্থীকে প্রশ্নপত্রের ভাষা বেছে নিতে হবে।