আপনাদের জন্যই দেশ সুরক্ষিত, সিয়াচেনে মোতায়েন জওয়ানদের কৃতজ্ঞতা রাষ্ট্রপতির
এই কারণে, সিয়াচেন বিশ্বের অন্যতম দুর্গম স্থানগুলির অন্যতম। আর সেখানে প্রহরা দিতে গিয়ে সৈনিকদের মারাত্মক কঠোর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
Download ABP Live App and Watch All Latest Videos
View In Appউল্লেখ্য, সিয়াচেনে কয়েকটি সেনা ছাউনি সমুদ্রতল থেকে ২২ হাজার ফুট উচ্চতায় অবস্থিত। সেখানে তাপমাত্রা হীমাঙ্কের থেকে ৫২ ডিগ্রি সেলসিয়াস নীচে নেমে যায়।
এদিন, সিয়াচেনের যুদ্ধস্মারকে পুষ্পার্ঘ্য দেন কোবিন্দ।
কোবিন্দ এদিন উপস্থিত জওয়ানদের উদ্দেশ্যে জানান, দিল্লি এলে একবার যেন তাঁরা রাষ্ট্রপতি ভবন দর্শন করেন।
অর্থাৎ, গত ১৪ বছরে এই প্রথম ভারতের কোনও রাষ্ট্রপতি সিয়াচেনে গেলেন।
এর আগে, ২০০৪ সালের এপ্রিলে সেখানে গিয়েছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি এপিজে আব্দুল কালাম।
প্রসঙ্গত, দেশের দ্বিতীয় রাষ্ট্রপতি হিসেবে সিয়াচেনে গেলেন রামনাথ কোবিন্দ।
এদিন কুমার পোস্ট পরিদর্শন করেন রাষ্ট্রপতি।
কোবিন্দ জানান, দেশের সুরক্ষার জন্য জওয়ানদের আনুগত্য দেশবাসীর কাছে দৃষ্টান্ত।
তিনি যোগ করেন, যে দৃঢ় সংকল্প এবং উৎসর্গ দেখান জওয়ানরা, তার জন্য কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।
কোবিন্দ বলেন, এই পরিবেশে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার জন্য জওয়ানদের অসাধারণ ক্ষমতার পরিচয় দিতে হয়।
তিনি জানান, সিয়াচেন হল দেশের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র। এই প্রতিকূল পরিবেশে স্বাভাবিক জীবনযাপন করাও প্রচণ্ড কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, সশস্ত্র বাহিনীর সুপ্রিম কমান্ডার হওয়ার দরুন তিনি গোটা দেশের তরফে তাঁদের জন্য কৃতজ্ঞতা বয়ে নিয়ে এসেছেন।
কোবিন্দ জানান, তিনি সিয়াচেনে এসেছেন এটা মনে করিয়ে দিতে যে, দেশের সব নাগরিক এবং ভারত সরকার সর্বদা জওয়ানদের এবাং তাঁদের পরিবারের পাশে আছেন এবং থাকবেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গত ৩৪ বছরে সিয়াচেনে মোতায়েন সৈনিকদের সাহসিকতা ও বীরত্ব প্রত্যেক ভারতবাসীকে এই ভরসা দিয়েছে যে দেশের সীমান্ত সুরক্ষিত এবং নিরাপদ।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র বলে পরিচিত সিয়াচেন সেনা বেস ক্যাম্পে যান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
- - - - - - - - - Advertisement - - - - - - - - -