নয়াদিল্লি: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে বিজেপি ও শিবসেনার মধ্যে জট এখনও কাটেনি। মুখ্যমন্ত্রী পদে ৫০-৫০ ফর্মুলার দাবিতে অনড় শিবসেনা। বিজেপিও সুর নরম করেনি। এমন পরিস্থিতিতে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠনের ইঙ্গিত দিল শিবসেনা।
দলের মুখপত্র ‘সামনা’য় বলা হয়েছে, মহারাষ্ট্রের নতুন মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, তা ঠিক করবেন উদ্ধব ঠাকরে। দলের তরফে আরও বলা হয়েছে, রাজ্যে কী কী ঘটে চলেছে, সে-বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর মাথা ব্যথা নেই। এমন পরিস্থিতি চললে ১৫ দিন পরেও মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিতে পারবেন না ফড়নবীশ। তাঁরা কোনওভাবেই মুখ্যমন্ত্রী পদ নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সমঝোতায় যাবে না।
সেক্ষেত্রে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ার। ইতিমধ্যেই অনেক কংগ্রেস বিধায়কই সনিয়া গাঁধীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন। কংগ্রেস সভানেত্রীকে তাঁরা অনুরোধ করেছেন, মহারাষ্ট্রের ভেতরকার বিষয়টি যেন মহারাষ্ট্রর হাতেই ছেড়ে দেওয়া হয়।
‘যাই হোক না কেন, বিজেপি থেকে আর মুখ্যমন্ত্রী নয়, এটাই আমাদের দলের মত’, সম্পাদকীয়তে লিখেছেন সঞ্জয় রাউত।
হিটলারের সঙ্গে বিজেপির তুলনা টেনে শিবসেনা বলেছে যে দলে ভয়ের শাসন চলে, তারা নিজেরাই এখন ভীত। এটাই পাল্টা আঘাত। যখন ভয় দেখিয়েও সমর্থন জোগাড় করা যায় না, তখন ধরে নিতে হবে হিটলার মৃত। দাসত্বর দিন গেছে।
পুলিশ ও অন্যন্য তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে হবে। ‘মহারাষ্ট্র দিল্লির দাস নয়!’
গোপন সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই শিবসেনা বিধায়ক কেনাবেচা ঠকাতে তাঁদের গোপন আস্তানায় সরিয়ে নিয়ে গেছে।
এনসিপির তরফে জানানো হয়েছে, যদি আস্থা ভোট হয়, তাহলে তারা বিজেপির বিপক্ষেই যাবে। শিবসেনাও যদি বিজেপিকে সমর্থন না করে, সেক্ষেত্রে বিকল্প চিন্তা করবে তারা।
শনিবার  বৃহত্তম দল বিজেপিকেই   সরকার গড়তে আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল ভগৎ সিংহ কোশিয়ারি। শনিবার নির্ধারিত সময় পেরনোর আগেই ফড়নবীশকে চিঠি লিখে সরকার গঠন প্রক্রিয়া শুরু করতে অনুরোধ জানান তিনি। রাজভবনের তরফে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে বলা হয়, ‘গত ২১ অক্টোবর মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। ফলাফল ঘোষণা হয়েছে ২৪ অক্টোবর। তার ১৫ দিন পরও কোনও একটি দল বা জোট সরকার গঠনের দাবি নিয়ে এগিয়ে আসেনি। তাই রাজ্যপালকে পদক্ষেপ করতে হচ্ছে। বৃহত্তম দল বিজেপিকে সরকার গঠনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।’
এমত পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা বলেন, বিজেপি-শিবসেনা যখন জোট রফা করতে পারেনি, তখন দ্বিতীয় সংখ্যাগরিষ্ঠ জোট হিসেবে এনসিপি-কংগ্রেস সরকার গঠনের জন্য তৈরি।