জিডি বিড়লা স্কুলে শিশুকে চকোলেটের লোভ দেখিয়ে শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে যৌন অত্যাচার দুই শিক্ষককের, দেখব ঘটনাপ্রবাহ

রানিকুঠির বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে ৪ বছরের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ। পরিবার সূত্রে খবর, গতকাল স্কুল ছুটির পর বাড়ি গিয়ে শিশুটি কাঁদতে শুরু করে।

সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করে কঠোরতম শাস্তি দেওয়া উচিত দোষীকে, জিডি বিড়লা স্কুলের ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিক্রিয়া শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস।

নির্যাতিতার বাবা

আগীমাকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ থাকবে স্কুল

ফিরে এল কালো নভেম্বর। ৩ বছর আগে রানিকুঠির এই স্কুলেই লোয়ার নার্সারির অপর এক শিশুর ওপর হয়েছিল যৌন হেনস্থা। স্কুলে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন অভিভাবকরা

নিন্দনীয় ঘটনা। ভাষা নেই ধিক্কার জানানোর, শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনায় মন্তব্য নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার। সমাজের ঘৃণ্যতম অপরাধ। দাবি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্রের।

নিন্দনীয় ঘটনা। ভাষা নেই ধিক্কার জানানোর, শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগের ঘটনায় মন্তব্য নারী ও শিশুকল্যাণমন্ত্রী শশী পাঁজার। সমাজের ঘৃণ্যতম অপরাধ। দাবি মনোরোগ বিশেষজ্ঞ সব্যসাচী মিত্রের।

স্কুলে তুমুল বিক্ষোভ আতঙ্কিত অভিভাবকদের চাপের মুখে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস কর্তৃপক্ষের

ছাত্রী কিছুটা সুস্থ হয়ে উঠলে তার কাউন্সেলিং করা হবে বলেও হাসপাতালের তরফে জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে যাদবপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এসএসকেএমের প্রসূতি বিভাগে ভর্তি নির্যাতিতা ছাত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শরীরে ব্যথা থাকায় তাকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে। নির্যাতিতার চিকিত্সার জন্য গঠন করা হতে পারে মেডিক্যাল বোর্ড।

নির্যাতিতা শিশুটির মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হচ্ছে, দাবি এসএসকেএম অধিকর্তা অজয় রায়ের। শিশুর শরীরে মিলেছে ক্ষতচিহ্ন, খবর সূত্রের। জিডি বিড়লা স্কুলে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির সদস্যরা গিয়েছে। কথা হয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

হাসপাতালে গিয়ে তদন্তকারীরা শিশুটিকে ৪টি ছবি দেখান। এর মধ্যে স্কুলের ২জন শিক্ষককে চিহ্নিত করে সে। ইতিমধ্যেই একজন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পাশাপাশি, যৌন নির্যাতনের খবর সামনে আসতেই অভিভাবকরা দফায় দফায় স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান। বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ৩ জন সদস্য নিয়ে কমিটি তৈরি করা হয়েছে।

জামা-কাপড়ে রক্তের দাগ ছিল নির্যাতিতার। ক্রমাগত কেঁদেছে মেয়ে, জানিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা। আত্মীয়দের দেখলেও আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে খুদে পড়ুয়া। দাবি পরিবারের। যাদবপুর থানায় জিজ্ঞাসাবাদ অভিযুক্ত শিক্ষককে।

এরপরই তাকে চিকিত্সকের কাছে নিয়ে যান বাবা-মা। শিশুটির উপর শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে জানান চিকিত্সক। রাতেই পরিবারের তরফে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অন্যদিকে শিশুটিকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।