Cancer : ক্যান্সার শিকড় ছড়ায়নি, তবে ছড়াবে! একেবারে জিরো স্টেজেই কর্কটরোগ জানান দেয় এই সব লক্ষণে
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে, কার্সিনোমা ইন সিটু (CIS) । ক্যান্সারের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার আগেই, একেবারে শুরুর দিকের স্তরকে বলে জিরো স্টেজ।

চিকিৎসাশাস্ত্র যতই এগিয়ে যাক না কেন, ক্যান্সার মানেই এখনও চরম ভয়, আতঙ্ক! অনেক সময়ই দেখা যায়, এই রোগ এমন সময় ধরা পড়ে, যখন অনেকটাই হাতের বাইরে। অথচ চিকিৎসকদের মতে, ক্যান্সার একদম শুরুতে ধরা পড়লে, সেরেও যায়। চিকিৎসা অনেক সহজ হয়। ফলও পাওয়া যায় ইতিবাচক। ক্যান্সারের এক্কেবারে প্রাথমিক স্তরকে বলে, স্টেজ ০ ক্যান্সার। একে চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় বলে, কার্সিনোমা ইন সিটু (CIS) । ক্যান্সারের বাড়বাড়ন্ত শুরু হওয়ার আগেই, একেবারে শুরুর দিকের স্তরকে বলে জিরো স্টেজ।
সেই সময় ক্যান্সার যে টিস্যুগুলি থেকে শুরু হয় তাতে কিছু অস্বাভাবিক কোষের দেখা পাওয়া যায়। কিন্তু এই স্তরে ক্যান্সার শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। "ইন সিটু" শব্দটির আক্ষরিক অর্থ "তার আসল স্থান" অর্থাৎ শরীরের যে টিস্যুগুলিতে প্রথম ক্যান্সার দেখা যায়। চিকিৎসকরা কার্সিনোমা ইন সিটুকে ম্যালিগন্যান্ট হিসেবে মনে করে না। এই স্টেজ আদতে ক্যান্সারের আগের স্তর বলে মনে করা হয়। অর্থাৎ প্রি-ক্যান্সারাস বা প্রাথমিক ক্যান্সার । কিন্তু এই পর্যায়েই ধরা না পড়লে কর্কট রোগের বিষ ছড়িয়ে পড়ে সারা শরীরে। তখন চিকিৎসা করাও হয়ে যায় কঠিন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এই কোষগুলি ম্যালিগন্যান্ট হয়ে উঠতে পারে এবং অন্যান্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। NIH-তে প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে এটি দেখা যেতে পারে -
অ্যাডেনোকার্সিনোমা ইন সিটু (জরায়ুমুখ, ফুসফুস বা গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ট্র্যাক্টে ), ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু (স্তনে) স্কোয়ামাস সেল কার্সিনোমা ইন সিটু (ত্বক, মুখ বা স্বরযন্ত্রে)।
স্টেজ ০ ক্যান্সারের লক্ষণ স্টেজ ০ ক্যান্সারের সাধারণত লক্ষণ দেখায় না, বিশেষ করে যখন এটি অভ্যন্তরীণ অঙ্গে বিকশিত হয়। তবে, কিছু ক্ষেত্রে প্রাথমিক লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
ত্বকের পরিবর্তন -
যে সব জায়গা সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসে, সেসব জায়গায় কিছু লক্ষণ দেখা যায়। মুখ, গলা, ঘাড়, হাতে লালচে, খসখসে, প্যাচ দেখা দিতে পারে, এগুলো সহজে সারে না। থেকে যায়। আবার কিছু কিছু সময় ত্বক থেকে আঁশের মতো ওঠা। এগুলো ত্বকের অন্য সমস্যাও হতে পারে, আবার প্রাক-ক্যান্সারের লক্ষণও হতে পারে। timesofindia- এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে প্রাক ক্যান্সার স্তরের কতগুলি লক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
মুখ বা মুখের ভেতরের লক্ষণ
মুখের ভেতরে সাদা বা লাল দাগ । মাড়ি, ঠোঁট বা জিহ্বার উপর ঘন বা রুক্ষ জায়গাগুলিতে এগুলি দেখা যায়। এগুলি ওরাল কার্সিনোমার প্রাথমিক সতর্কতা লক্ষণ হতে পারে। কিছু ব্যক্তি স্থায়ী অস্বস্তি বা ব্যথাও অনুভব করতে পারেন যা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেরে যায় না।
স্তনের পরিবর্তন
নিয়মিত ম্যামোগ্রামের মাধ্যমে ডাক্টাল কার্সিনোমা ইন সিটু (DCIS) বা লোবুলার কার্সিনোমা ইন সিটু (LCIS) শনাক্ত করা যেতে পারে। সাধারণত,এর কোনও লক্ষণ দেখা যায় না, তবে কখনও কখনও পিণ্ড বা স্রাব বের হতে পারে। কিছু ক্ষেত্রে, স্তনের আকার, ত্বকের গঠন বা স্তনবৃন্তের চেহারাতে সূক্ষ্ম পরিবর্তনও লক্ষ্য করা যেতে পারে।
জরায়ুর অস্বাভাবিকতা
জরায়ুর অস্বাভাবিকতা সাধারণত প্যাপ স্মিয়ার বা এইচপিভি পরীক্ষার মাধ্যমে সনাক্ত করা হয়, কারণ প্রাথমিক পর্যায়ে এগুলি খুব কমই দৃশ্যমান । জরায়ুর ক্যান্সারোমা ইন সিটু (সিআইএন) বলতে জরায়ুর পৃষ্ঠে অস্বাভাবিক কোষের উপস্থিতি বোঝায় যা এখনও আশেপাশের টিস্যুতে ছড়িয়ে পড়েনি।
মূত্রাশয়ের লক্ষণ
মূত্রাশয়ে প্যাপিলারি ইউরোথেলিয়াল কার্সিনোমা ইন সিটু হতে পারে।প্রস্রাবে রক্ত (রক্তক্ষরণ) ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া বা জ্বালা করলে স্ক্রিনিং করান। প্রারাথমিক সনাক্তকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
Check out below Health Tools-
Calculate Your Body Mass Index ( BMI )























