নয়া দিল্লি: ফের লাদাখের পুনরাবৃত্তি। এবার উত্তরাখণ্ডে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ল চিনা সেনা। সূত্রের খবর, গত ৩০ অগাস্ট, উত্তরাখণ্ডের বারাহোতি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকে পড়ে পিপলস্ লিবারেশন আর্মির ১০০ জনের দল। কিছুক্ষণ থেকে তারা ফিরে যায়। বর্তমানে ওই এলাকায় ITBP জওয়ানদের মোতায়েন করা হয়েছে। টহল দিচ্ছে ভারতীয় সেনা।
যদিও সরকারিভাবে উত্তরাখণ্ড সীমান্তে লাল ফৌজের অনুপ্রবেশের কথা স্বীকার করা হয়নি। পূর্ব লাদাখেও এই ভাবেই ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েছিল চিনা সেনা। এবার উত্তরাখণ্ডেও একই ঘটনা ঘটায় ফের ভারত-চিন সম্পর্কে উত্তেজনা বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, উত্তরাখণ্ডে চিনা সেনার অনুপ্রবেশ নিয়ে মোদি সরকারকে আক্রমণ করেছেন মিম নেতা আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। হায়দরাবাদের সাংসদের ট্যুইট, ১০০ জন চিনা সেনা উত্তরাখণ্ডে এসেছিল। আমাদের সম্পত্তি ভাঙচুর করে চলে গিয়েছে। ওরা লাদাখে আমাদের ভূখণ্ড দখল করেছিল, সিকিমে অনুপ্রবেশ করে এবং এখন এই ঘটনা। মোদির দুর্বলতা এবং নিষ্ক্রিয়তার জন্য চিন এভাবে আক্রমণ করছে। এর মোকাবিলায় মোদি কোন অ্যাপ নিষিদ্ধ করবেন? ট্যুইটে কটাক্ষ মিম নেতার।
সূত্রের খবর, চিনা সেনারা একটি সেতু-সহ বেশ কিছু অবকাঠামোও ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। এরপর পিছু হটে তাঁরা। জানা গিয়েছে ১০০ জনেরও বেশি সেনা ৫৫টি ঘোড়ায় এসে টুন জুন লা পাস অতিক্রম করে প্রায় ভারতীয় ভূখণ্ডের ৫ কিলোমিটার ভিতরে চলে আসে।
অন্যদিকে, চলতি মাসে ভারত-নেপাল সীমান্তের প্যানিট্যাঙ্কির কাছে আটক হয়েছিল চিনা নাগরিক ও এক শিলিগুড়ির বাসিন্দা। আটক করেছিল SSB। জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে, সন্দেহজনক বলে মনে হয় তাদের। অসংলগ্ন কথাবার্তাও বলতে থাকে তারা। এরপরই তাদের খড়িবাড়ি পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আটক চিনা নাগরিকের কাছ থেকে মিলেছে কাঠমান্ডু যাওয়ার টিকিট। পাশাপাশি জন্মসূত্রে তিনি তিব্বতের বাসিন্দা হলেও তার কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে আমেরিকান পাসপোর্ট, আবার অন্যদিকে মিলেছে ভারতীয় প্যানকার্ড। এই দুটিতেই রয়েছে আলাদা আলদা নাম। তার সঙ্গে থাকা শিলিগুড়ির বাসিন্দাকে জিজ্ঞাসাবাদ করায় তিনি জানিয়েছিলেন, এই চিনা নাগরিককে নেপাল সীমান্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়াই ছিল তার কাজ।