বৈদেহী আর রাধিকা পড়াশোনা করে পিআর সাভানি চৈতন্য বিদ্যা সঙ্কুলে। বিজ্ঞান তাদের প্রিয় বিষয়, তারা প্রশিক্ষণ নিয়েছে স্পেস ইন্ডিয়া নামে একটি বেসরকারি সংস্থায়। ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সার্চ কোলাবরেশন নামে একটি নাসার সঙ্গে সম্পর্কিত সিটিজেন সায়েন্টিস্ট গ্রুপের সহায়তায় স্পেস ইন্ডিয়া একটি ক্যাম্পেন করে, নাম দেয় অ্যাস্টরয়েড সার্চ ক্যাম্পেন। অংশগ্রহণকারীদের কাজ ছিল অত্যাধুনিক সফটওয়্যার ও প্রযুক্তির সাহায্যে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যান-স্টার্স টেলিস্কোপের পাঠানো ছবির মধ্য থেকে গ্রহাণুর সন্ধান করা। এভাবেই ঘণ্টার পর ঘণ্টা খোঁজ করতে করতে ওই গ্রহাণুর খোঁজ পায় বৈদেহী ও রাধিকা।
ইন্টারন্যাশনাল অ্যাস্ট্রনমিক্যাল সার্চ কোলাবরেশনের ডিরেক্টর জে প্যাট্রিক মিলার তাদের এই কৃতিত্বের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। নাসা এ ব্যাপারে কনফার্মেশন মেল করেছে তাদের। গ্রহাণুটির আপাতত নাম রাখা হয়েছে এইচএলভি২৫১৪, নাসা এর কক্ষপথ বুঝতে পারলেই পাকাপাকিভাবে নামকরণ হবে। এখন এটি রয়েছে মঙ্গলের কাছে, পৃথিবীর কক্ষপথ পার হতে আরও ১০ লক্ষ বছর।
বৈদেহী জানিয়েছে, তার এই গ্রহাণুর নাম দেওয়ার খুব ইচ্ছে, বড় হয়ে সে মহাকাশচারী হতে চায়। রাধিকা আবার বলেছে, পড়াশোনা নিয়ে ব্যস্ত থাকার জন্য বাড়িতে টিভিও রাখতে দেয়নি সে। এখন শুধু মন দিয়ে পড়াশোনা করতে চায়।