যোধপুর: রাজস্থানের কোটার লোন হাসপাতাল থেকে যখন একের পর এক শিশুমৃত্যুর খবর আসছে, ঠিক সেই সময় ওই রাজ্যেরই আরেকটি শহর থেকেও একমাসে শতাধিক শিশুমৃত্যুর খবর প্রকাশ্যে এল।
সংবাদসংস্থার খবর, যোধপুরের ডক্টর সম্পূর্ণানন্দ মেডিক্যাল কলেজে গত একমাসে ১৪৬ জন শিশুমৃত্যু হয়েছে। যদিও, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সাফাই, যত সংখ্যক শিশু ভর্তি হয়েছিল ডিসেম্বরে, সেই তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা অনেক কম। তাদের আরও দাবি, ওই হাসপাতালে বহু সঙ্কটজনক শিশু আসে। অনেকক্ষেত্রে অন্য হাসপাতাল থেকে তাদের পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেক্ষেত্রে, শিশুদের যা শারীরিক অবস্থা থাকে, তাতে তাদের বাঁচানো মুশকিল হয়ে পড়ে।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রিন্সিপাল এসএস রাঠোর বলেন, আমরা পশ্চিম রাজস্থানের সর্ববৃহৎ হাসপাতাল। আমাদের কাছে যোধপুর এইমস থেকেও শিশুদের রেফার করা হয়। শুধু ডিসেম্বরেই ৪,৬৮৯ শিশু ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে ১৪৬ জন মারা গিয়েছে। অর্থাৎ, পরিসংখ্যানের বিচারে মাত্র ৩ শতাংশ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। যা আমার কাছে গ্রহণযোগ্য। তিনি যোগ করেন, সকলেই মৃত্যুর সংখ্যা দেখছে। কিন্তু, ভর্তির সংখ্যা বিচার করছে না।
এদিকে, কোটার জেকে লোন হাসপাতালে ডিসেম্বরে শিশুমৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১০৭। গতকালই, হাসপাতাল পরিদর্শনে যায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল এবং গোটা বিষয়টি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে। এর আগে, তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজস্থান সরকারও। শিশুমৃত্যুর ঘটনায় তারা হাসপাতালকে ক্লিনচিট দেয়। ওই কমিটি জানায়, লোন হাসপাতালে পরিকাঠামোগত খামতি রয়েছে। তা অবিলম্বে ঠিক করা প্রয়োজন।
তবে, রাজ্যে শতাধিক শিশুমৃত্যুর ঘটনায় রাজস্থান সরকারকে নোটিস জারি করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। গোটা বিষয়টি নিয়ে চার সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কমিশন আরও জানায়, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে, হাসপাতালগুলিতে পরিকাঠামো ও স্বাস্থ্য পরিষেবার উন্নতি ঘটাতে, ভবিষ্যতে যাতে এধরনের ঘটনা না ঘটে।