নয়াদিল্লি: লকডাউনের প্রথম দিনেই অথৈ জলে ই-কমার্স সংস্থাগুলো।

কেন্দ্র অনলাইন লেনদেনে ছাড়পত্র দিলেও বহু রাজ্যে তা হচ্ছে না। মিল্কবাস্কেটের মত স্টার্টআপকে ১ দিনে ১৫,০০০ লিটার তাজা দুধ ফেলে দিতে হয়েছে, নষ্ট হয়েছে ১০,০০০ কেজি ফল আর শাকসবজি। মিল্কবাস্কেটের সহ প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও অনন্ত গোয়েল জানিয়েছেন, খাবার সরবরাহ করতে গিয়ে তাঁদের কর্মীদের চূড়ান্ত হেনস্থার মুখোমুখি হতে হয়েছে। লকডাউনের উদ্দেশ্য সঠিক কিন্তু রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা কনস্টেবল ভেবেছেন, কাউকে বার হতে দেওয়া যাবে না। ফলে পরিচয়পত্র বার করারও সুযোগ মিলছে না, ডেলিভারি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে।

নিনজাকার্টের কথা ধরুন। এই স্টার্টআপের কাজ হল কৃষকদের সঙ্গে সবজির দোকানের যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া। তারা জানাচ্ছে, শুধু চেন্নাইয়েই তাদের ২০,০০০ কেজি সবজি ফেলে দিতে হয়েছে। এমন চললে শিগগিরই ২-৩টি শহরে কাজ বন্ধ করে দিতে হবে। শুধু পুলিশ নয়, করোনা আতঙ্কে স্থানীয় পঞ্চায়েতও বহু জায়গায় বাইরের লোককে গ্রামে ঢুকতে দিচ্ছে না। আবার অনেক কর্মী এ কারণে কাজে যোগ দিতেও পারছেন না। এই সামাজিক চাপ অগ্রাহ্য করে কী করে কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ানো সম্ভব? প্রশ্ন অনন্ত গোয়েলের।

তবে পঞ্চায়েত বা পুলিশই শুধু নয়, বহু হাউজিং সোসাইটি, বাড়ির মালিকও চাইছেন না, তাঁদের বাড়ির বাসিন্দা এই সময় কাজে বার হন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার পরিস্থিতি সম্পর্কে ওয়াকিবহাল, তারা সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি মেটানোর চেষ্টা করছে বলে গোয়েল জানিয়েছেন। ডিপিআইআইটি সচিব গুরুপ্রসাদ মহাপাত্র বলেছেন, পরিচয়পত্র সহ হোম ডেলিভারি বয়রা যাতে সহজেই জিনিসপত্র সরবরাহ করতে পারেন, তা নিশ্চিত করে রাজ্যগুলিকে বলা হয়েছে। নীতি আয়োগের সিইও অমিতাভ কান্ত বলেছেন, অনলাইনে জিনিসপত্র যাতে স্বাভাবিকভাবে সরবরাহ করা যায় তা নিশ্চিত করতে তিনি নিজে উদ্যোগ নেবেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল ঘোষণা করেছেন, অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাগুলি চালু রাখতে কারফিউ ই-পাস ইস্যু করবেন তাঁরা। গুরুগ্রাম ও নয়ডা পুলিশও সব অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা মসৃণভাবে যাতে কাজ করতে পারে, সে ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। বেঙ্গালুরুতে সব পক্ষের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে চলেছেন খোদ পুলিশ কমিশনার।