বেঙ্গালুরু: পাটনার পর আগামীকাল বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru Mega Opposition Meet) বৈঠক বিজেপি-বিরোধী দলগুলির। কাল-পরশু বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের মেগা বৈঠক। তার ঠিক আগেই আম আদমি পার্টির (AAP) দাবি মানল কংগ্রেস (Congress)। কেন্দ্রের অর্ডিন্যান্সের বিরোধিতা করা হবে বলে ঘোষণা করেছে তারা। আগামীকাল বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দিচ্ছে কংগ্রেস, তৃণমূল, আপ-সহ ২৬ বিরোধী দল। বৈঠকে থাকার কথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের (CM Mamata Banerjee)। তবে পিটিআই সূত্রে খবর, সনিয়া গাঁধী আয়োজিত নৈশভোজে তিনি থাকবেন না। 


কী ঘটল?
দিল্লি অর্ডিন্যান্স কেন্দ্রের বিরোধিতা করবে বলে জানিয়েছে কংগ্রেস। তার পরই রাজনীতি বিষয়ক কমিটির বৈঠক ডেকেছিল আপ। সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা সাংবাদিকদের বলেন, 'আমরা কংগ্রেসের এই ঘোষণাকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিষয়টি সামনে রেখেই আগামীকাল বেঙ্গালুরুতে বিরোধী দলের বৈঠকে যোগ দেবে আপ।' শেষ পর্যন্ত সাধারণ নির্বাচনের আগে বিজেপি বিরোধী জোট কতটা দানা বাঁধবে, তা নিয়ে বেশ কিছু সংশয় রয়েছে। বিশেষত কংগ্রেস যত ক্ষণ পর্যন্ত দিল্লি অর্ডিন্যান্স নিয়ে নিজের অবস্থান জানায়নি, তত ক্ষণ পর্যন্ত আপের বেঙ্গালুরুর বৈঠকে যোগ দেওয়া জোরালো সংশয় ছিল। কিন্তু রবিবার সকালের পর কংগ্রেস অবস্থান স্পষ্ট করায় আপাতত যা দেখা যাচ্ছে, তাতে আগামীকালের বৈঠকে যোগ দেবে বলে জানিয়ে দিল আম আদমি পার্টি। তাদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে জেডি(ইউ)। তবে এখনও বেশ কিছু অস্বস্তি থাকছে। যেমন, জাতীয় স্তরে বিজেপি-বিরোধিতায় এক ছাতার তলায় আসা নিয়ে আলোচনা চললেও পশ্চিমবঙ্গে হালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেস-সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের তীব্র সংঘাত হয়েছে। সেই স্মৃতি পাশে সরিয়ে রেখে কী ভাবে সাধারণ নির্বাচনের জন্য একসঙ্গে লড়াই সম্ভব? প্রশ্ন থাকছেই।


আর যা...
সূত্রের খবর, এই দ্বিতীয় বৈঠকে বিরোধী জোটের নামকরণ হতে পারে। কী ভাবে বিজেপি বিরোধিতা হতে পারে, তার কৌশল তৈরি করতেই এই বৈঠক। বিরোধীদের পরবর্তী ঐক্য বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য দিনচারেক আগেই শীর্ষ রাজনৈতিক দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন কংগ্রেস সভাপতি তথা রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের আহ্বানে গত ২৩ জুন পটনায় বিরোধীদের যে বৈঠক হয়েছিল, সেই বৈঠকের কথা মনে করিয়ে দিয়ে চিঠি দেন খাড়গে। লেখেন, পটনার বৈঠকে বিশাল সাফল্য মিলেছিল। কারণ, আমরা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে পেরেছিলাম। তার মধ্যে রয়েছে- আমাদের গণতান্ত্রিক রাজনীতি যে হুমকির মুখে পড়েছে সেই বিষয়টি। যার পর আমরা অলিখিতভাবে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে লড়ার চুক্তি করেছি।' কংগ্রেস সভাপতি আরও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন, 'আমরা জুলাইয়ে দ্বিতীয় বৈঠকে মুখোমুখি হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।' চিঠিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, 'আমি মনে করি, এই আলোচনা চালিয়ে নিয়ে যাওয়া উচিত। যে গতি আমরা নিয়ে এসেছি তা আরও বাড়াতে হবে। আমাদের দেশ এখন যে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে তার সমাধান করার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে।' আখেরে এই বৈঠক থেকে সত্যিই কোনও সমাধান পাওয়া যায় কিনা, এবার সেটাই দেখার।


আরও পড়ুন:সর্বসেরা কূটনীতিবিদ? হনুমান, তাইল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয়দের সঙ্গে আলোচনাসভায় দাবি জয়শঙ্করের