সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের প্রায় ৩ মাস পর জম্মু ও কাশ্মীরের বাস্তব পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে কাল সেখানে যাচ্ছে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের ২৭-২৮ জনের দলটি। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের মন বোঝার চেষ্টা করবে তারা।
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়বীর শেরগিলও সরকারের পদক্ষেপের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ট্যুইট করেন, বিজেপি সরকার ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলের কাশ্মীর সফরের সুবিধা করে দিতে পারে, তবে কেন ভারতের বিরোধী শিবিরের নেতারা কাশ্মীর যেতে পারেন না? কাশ্মীর যেতে কেন ভারতীয়দের সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে হয়, অথচ ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানায় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর? কেন সমান সুযোগ নেই? তিনি আরও বলেন, কোনও বিদেশি রাষ্ট্র বা পার্লামেন্টের কোনও সদস্যের জম্মু ও কাশ্মীরে নাক গলানোর অধিকারই নেই, এটা পুরোপুরি ভারতের ঘরোয়া ব্যাপার।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অবশ্য আজ ইউরোপীয় দলটিকে বলেন, যারা সন্ত্রাসবাদ সমর্থন, তার পৃষ্ঠপোষকতা করছে, তাদের বিরুদ্ধে জরুরি ব্যবস্থা চাই। সন্ত্রাসবাদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহনশীলতার মনোভাব থাকলে চলবে না।
ইউরোপীয় প্রতিনিধিদলের দেশের বিভিন্ন অংশে সফর ফলদায়ক হবে বলে আশা প্রকাশ করে মোদি বলেন, জম্মু ও কাশ্মীর গেলে ওঁরা জম্মু, কাশ্মীর আর লাদাখের সাংস্কৃতিক, ধর্মীয় বৈচিত্র্যের ব্যাপারে ভাল ধারণা পাবেন। ওইসব অঞ্চলের উন্নয়ন, সুশাসনের অগ্রাধিকারে সরকারের ভাবনাচিন্তাও তাঁরা স্পষ্ট বুঝতে পারবেন বলে অভিমত জানান তিনি।